রঙ মানুষের মনের ওপর প্রভাব ফেলে। যেমন- নীল বেদনার রঙ, লাল ভালোবাসার রঙ, সাদা পবিত্রতার রঙ। একটি নির্দিষ্ট রঙ মনস্তাত্ত্বিক এবং সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তুলতে পারে। ঠিক তেমনি ভাবে কর্মক্ষেত্রেও রঙ নানাভাবে প্রভাব ফেলে। তাই কর্মক্ষেত্রে আকর্ষণীয় টেক্সচার এবং প্যাটার্ন যুক্ত করুন। তাহলে এক ধরণের কর্মঠ কাজের পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন। যা কাজের একঘেয়েমি দূর করে। কাজের সৃজনশীলতা বাড়ায়। বিশষ করে, বিপরীত রঙ এবং টেক্সচার চিন্তাশীল আগ্রহ তৈরি করতে পারে। কাজে সরাসরি মনোযোগ দিতে সহায়তা করতে পারে।
আবার, আলো, আসবাবপত্র এবং সামগ্রিক অফিস ডিজাইনের ওপরও মনোযোগ দিন। কারণ এগুলো আরামদায়ক কাজের পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রীতম প্রতাপ টিপাল, গিরা ইনফ্রার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও, এইচটি লাইফস্টাইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “অফিসের অভ্যন্তরে রঙ, প্যাটার্ন এবং টেক্সচার উৎপাদনশীলতার ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সঠিক রঙের ব্যবহার মেজাজ এবং সৃজনশীলতা উন্নত করতে পারে। রঙের বিভিন্ন ধরণের প্যাটার্ন কর্মক্ষেত্রে একঘেয়েমি ভাঙতে পারে”।
উষ্ণ রঙ
লাল, কমলা এবং হলুদের মতো উষ্ণ রঙগুলো উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এই রঙগুলো কর্মক্ষেত্রে শক্তিশালী পরিবেশ তৈরি করতে পারে। যে সব কাজে খুব মনোযোগ প্রয়োজন, সেখানে এই ধরণের রঙগুলো সাহায্য করতে পারে।
শীতল রঙ
নীল, সবুজ এবং বেগুনি রঙ গুলো শীতল রঙ হিসেবে পরিচিত। এই রঙগুলো অফিসে এক ধরণের শান্ত এবং আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে পারে। সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন এমন কাজের জন্য এ সব রঙ সহায়ক হতে পারে।
নিরপেক্ষ রঙ
সাদা, কালো এবং ধূসর রঙের মতো নিরপেক্ষ রঙগুলো বহুমুখী এবং পেশাদার পরিবেশ তৈরি করতে পারে। এটি যে কোনো ধরনের কাজের পরিবেশের জন্য সহায়ক হতে পারে।
প্যাটার্ন
প্যাটার্ন যুক্ত রঙ কাজের আগ্রহ বাড়াতে পারে। একঘেয়েমি ভেঙে দিতে পারে। এটি কর্মচারীদের ব্যস্ত এবং মনোনিবেশ রাখতে সহায়তা করতে পারে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/baccader-shikhaben-je/
টেক্সচার
টেক্সচার, কর্মক্ষেত্রে গভীরতা যুক্ত করতে পারে। এক ধরণের আরামদায়ক বোধ দিতে পারে। কাজের উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।