রচনা ব্যানার্জী সফল অভিনেত্রী, সফল ব্যবসায়ী। মা এবং মেয়ে হিসেবেও তিনি সকলের আদর্শ! কথা হচ্ছে রচনা ব্যানার্জীকে (Rachna Banerjee) নিয়ে। একাধারে অনেক দিক সামলাতে পারেন তিনি। দিনভর দিদি নাম্বার ওয়ানের শুটিং করেও ব্যবসা সামলাতে পারেন। বাবা-মায়ের দেখাশোনা থেকে ছেলেকে মানুষ করা, কোনওটাতেই খামতি নেই। খামতি শুধু রয়েছে দাম্পত্যে। পরপর দু-বার বিয়ে করেও তিনি স্বামী সুখ পাননি।
রচনা ব্যানার্জীর কটা বিয়ে?
রচনা ব্যানার্জী ২ বার বিয়ে করেছেন। তার প্রথম স্বামী সিদ্ধান্ত মহাপাত্র (Siddhanta Mahapatra) হলেন উড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার। দ্বিতীয় স্বামী প্রবাল বসু (Prabal Basu) একজন ব্যবসায়ী। কারও সঙ্গেই সংসার জীবন সুখের হয়নি রচনার। এর কারণ হিসেবে তিনি অবশ্য নিজেকেই দায়ী করেছেন। প্রকাশেই বলেছেন তিনি মানিয়ে নিতে পারেননি।
রচনা ব্যানার্জীর প্রথম স্বামী কে?
২০০৪ সালে সিদ্ধান্তকে বিয়ে করেন রচনা। একটা সময় রচনা নিজেও উড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। সিদ্ধান্তর সঙ্গে রচনার জুটি ছিল সুপারহিট। পর্দায় প্রেম করতে করতে বাস্তবেও তাদের প্রেম হয়। কিন্তু বিয়ে করে এক বছরও সংসার করতে পারেননি দুজনে। বিয়ে ভেঙে যাওয়াতে পাকাপাকিভাবে কলকাতায় ফিরে আসেন রচনা।
রচনা ব্যানার্জী বর্তমান স্বামী কে?
কলকাতাতে এসে অবশ্য জীবনকে আবার দ্বিতীয় সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন রচনা। তিনি বিয়ে করেন প্রবাল বসুকে। ২০০৭ সালে তাদের বিয়েটা হয়। তাদের এক সন্তান রয়েছে, নাম তার প্রণিল বসু। ৯ বছর সংসার করেছিলেন প্রবাল এবং রচনা। ২০১৬ সাল থেকে তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ছেলে রচনার কাছেই থাকে।
রচনা ব্যানার্জী ডিভোর্স নেননি কেন?
একমাত্র ছেলের কথা ভেবেই রচনা এবং প্রবাল ডিভোর্স নেননি। রচনা যেমন ছেলেকে মানুষ করছেন, প্রবালও তেমন বাবা হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করছেন। ছেলের পরীক্ষার সময় তিনি তাকে পড়াতে আসেন। আবার পূজো কিংবা বিভিন্ন সময় ছুটি পেলে রচনা, প্রবাল ও প্রণীল একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করেন, খাওয়া-দাওয়া করেন বাইরে।
রচনা ব্যানার্জী মা হিসেবে কেমন?
রচনা একবার একটি টক শোতে এসে নিজের মুখেই বলেন তিনি মা হিসেবে নিজেকে ৭ দেবেন দশের মধ্যে। কারণ আদর্শ মা হিসেবে ছেলেকে যে সময় তার দেওয়ার কথা তা তিনি কাজের চাপে দিতে পারেন না। আর স্ত্রী হিসেবে নিজেকে শূন্য দিয়েছেন রচনা। কারণ একজন স্ত্রীকে যেভাবে স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয় তা তিনি পারেননি। সেই কারণেই রচনার দাম্পত্য সুখের হয়নি।