চা পান করতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। অনেকের কাছেই চা বিশেষ পছন্দের পানীয়। আমরা সাধারণত দুই ধরনের চা পান করি: রং চা (দুধ ছাড়া) অথবা দুধ চা। এ ছাড়াও এখন মাল্টা, কমলা, তেঁতুল, মরিচসহ নানা প্রকারের মশলা দিয়েও চা পাওয়া যায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উটের দুধের চা।
উঁহু, উটের দুধ দিয়ে চা পান করার ইচ্ছে হলে এখন আর আপনাকে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে হবে না। রাজধানী ঢাকাতেই মিলছে এই চা। ব্যাচেলর এক্সপ্রেসে মিলবে এই চা। ঢাকার গুলশানে ৫২ নাম্বার রোডে এই রেস্টুরেন্টের অবস্থান। অভিনব স্বাদের এই চা খেতে প্রতিদিন এখানে ভিড় জমান অনেকে। রেস্টুরেন্টটির উদ্যোক্তা আমিনুল ইসলাম ও মাহবুব হাসান। তারা পরস্পর দুই বন্ধু। ব্যাচেলর এক্সপ্রেস খোলা থাকে বেলা ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত।
উটের দুধের চা হতে পারে- এ কথা প্রথম ভাবেন মাহবুব। মাঝেমধ্যে নানা কারণে দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তার যাওয়া হয়। সেখান থেকেই তিনি এ ধারণা পান। এরপর দেশে এসে নতুন ক্যাফের যাত্রা শুরু করেন তিনি। এ সময় বন্ধুর পাশে দাঁড়ান আমিনুল ইসলাম। তিনি জানালেন, ক্যাফেতে সব ধরনের চা থাকলেও উটের দুধের চা সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়।
উটের দুধের চা প্রতি কাপ ৪০০ টাকা। কারণ উটের দুধের গুঁড়া দেশের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়, যার মূল্য ১ কেজি ২০-২৫ হাজার টাকা। মূলত গুঁড়া দুধের দাম বেশি হওয়ায় চায়ের এই দাম।
উটের দুধের চায়ের স্বাদ ভিন্ন হওয়ায় চা-রসিকদের মধ্যে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মিরপুর থেকে চা পান করতে এসেছেন তমাল আহমেদ। তিনি বলেন, চা খুব ভালো। স্বাদ হিসেবে দাম বেশি না। এই চায়ের ঘ্রাণ দারুণ! আপনি না খেলে কখনোই এর স্বাদ বুঝবেন না!
আরিফ ইমন এসেছেন রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে। রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, অনেকের কাছে শুনে চা খেতে এসেছি। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর পেলাম। ভালো লেগেছে- অন্যরকম!
অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের নজরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী যে স্ট্রাইকার
এ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা মাহবুব হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, আমাদের এই চা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গুণগুত মান বজায় রেখে আমরা চা প্রস্তুত করে পরিবেশন করি। গ্রাহককে আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।