সাধারণত দেশে সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয় জানুয়ারি মাসে। কিন্তু এবার ফেব্রুয়ারিতেও দেশের অনেক এলাকায় শীতের তীব্রতা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন দেশের ১৯ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মাসের বাকি সময়টাতেও কম-বেশি শীত থাকবে।
দিনে সূর্য উঁকি দিলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এখনও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশায় ছেয়ে থাকছে চারপাশ। এতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখনও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করছে। সেই সঙ্গে দেশের বেশ কিছু জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। যা প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি ঢাকায় সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এতে রাতে বাড়তে পারে শীতের অনুভূতি। পাশাপাশি আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামীকাল সোমবার ও পরদিন মঙ্গলবার (১২-১৩ ফেব্রুয়ারি) দেশের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এই দু’দিনে সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার ডিসেম্বরে সারাদেশেই শীতের তীব্রতা তুলনামূলক কম ছিল। ডিসেম্বরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো বেশি ছিল। কিন্তু জানুয়ারির শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল। এ ছাড়া গত মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোট চার দফায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এমনকি দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকায় একসঙ্গেও শৈত্যপ্রবাহ ছিল কয়েক দিন।
চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ (গত বৃহস্পতিবার) থেকে আবার শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১৯ জেলায়।