আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রিয় এক প্রতিপক্ষ সুইডেন। স্ক্যান্ডেনেভিয়ান এই দেশটির বিপক্ষে অনেক সুখস্মৃতিই রয়েছে রোনালদোর। তবে এবারের ফিফা উইন্ডোতে সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচে ছিলো না তার নাম। তাতে অবশ্য খুব একটা ক্ষতি হয়নি পর্তুগালের। ম্যাচ দেখে রোনালদোও অখুশি হবেন না নিশ্চিতভাবেই।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে সুইডেনকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল। গোল করেছেন রাফায়েল লিয়াও, ম্যাথিয়াস নুনেস, ব্রুনো ফার্নান্দেস, ব্রুমা ও গঞ্জালো রামোস। রোনালদো ছাড়াও এদিন ছিলেন না হোয়াও কানসেলো, হোয়াও ফেলিক্স, দিয়োগো দালোত, ভিতিনিয়ার মতো তারকারাও।
পুরো ম্যাচে ৫৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৩টি শট নেয় পর্তুগিজরা। যার ৮টিই ছিল অন টার্গেট। আক্রমণে পিছিয়ে ছিল না সুইডিশরাও। প্রতিপক্ষের মাঠে ১৩টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল তারা। পরিসংখ্যান বাদ দিলে, প্রথমার্ধে কোনো পাত্তাই পায়নি সফরকারীরা। পিছিয়ে ছিল ৩-০ ব্যবধানে।
২৩তম মিনিটে স্বাগতিকদের লিড এনে দেন লিয়াও। বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন ম্যানসিটির বার্নার্দো সিলভা। তবে বারে লেগে ফিরে আসা বল পেয়ে যান লিয়াও। জোরালো শটে কাঁপান সুইডেনের জাল। ৯ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নুনেস। সুইডেনের চার ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান ৩-০ করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। নেলসন সেমেদোর ক্রস থেকে বল জালে জড়ান তিনি। তিন গোলের লিড নিয়ে টানেলে ফেরে পর্তুগাল। বিরতির পর ৫৭তম মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন ব্রুমা। প্রতিপক্ষ থেকে বল কেড়ে নিয়ে আক্রমণে উঠে ম্যান ইউনাইটেড তারকা ফার্নান্দেজ পাস দেন ব্রুমাকে। সহজেই সেখান থেকে ব্যবধান বাড়ান স্ট্রাইকার ব্রুমা।
পরের মিনিটে অবশ্য ব্যবধান কমায় সুইডেন। দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ভিক্টর গিওকেরেস। মিল হোম একক প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পাস দেন ভিক্টরকে। গোলমুখে বল পেয়ে জালে জড়ান তিনি।
দুই মিনিট না যেতে পাল্টা আক্রমণে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে যান সেমেদো। সেটা তিনি বাড়িয়ে দেন গঞ্জালো রামোসের উদ্দেশে। তাতেই পর্তুগাল পায় ৫ম গোল। ম্যাচের শেষ মিনিট গিয়ে বদলি নামা গুসতাফ নিলসন দারুণ এক হেডে সুইডেনের দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান কমান।