লং কভিডের মতোই লং ফ্লুর আবির্ভাব হচ্ছে। সিজনাল ফ্লু নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী নানা উপসর্গ। বিস্তারিত জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ
কভিডে যাঁরা ভুগেছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে নানা রকম উপসর্গ। যেমন অপরিসীম ক্লান্তি, ব্যথা ও ব্রেন ফগ বা ভুলে যাওয়ার সমস্যা।
তবে অনেকেই আমরা জানি না, অন্যান্য ভাইরাসেরও সংক্রমণ হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী ও বিধ্বংসী সব উপসর্গ নিয়ে। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুও একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যা নাক, গলা এবং ফুসফুসকে আক্রমণ করে। সাধারণ ঠাণ্ডা-সর্দির চেয়ে এটা বেশি গুরুতর। তবে সম্প্রতি বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যান্সেটে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে, গুরুতর ফ্লুর রূপ নিতে পারে দীর্ঘস্থায়ী লং ফ্লু।
লক্ষণ
এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্লু না সারলে এবং অসুস্থ ও দুর্বল বোধ করলে বুঝতে হবে অন্তর্নিহিত অন্য কোনো সমস্যা সেরে ওঠার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে। তাই দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে।
লং ফ্লু থেকে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা
ফ্লু হচ্ছে মৌলিকভাবে শ্বাসযন্ত্রের রোগ। লং ফ্লু হলে শ্বাসযন্ত্রের নানা অসুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
অনেক সময় মৃদু সংক্রমণের কারণে দীর্ঘস্থায়ীভাবে ভুগতে হয়। আগে মনে করা হতো ভাইরাসের সংক্রমণ থাকবে দুই থেকে তিন দিন, নয়তো সাত দিন। তবে এখন আর এত সহজে সেরে যাচ্ছে না। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসগুলো ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে, নিয়মিত নতুন স্ট্রেন আসছে। তাই সংক্রমণকে অবহেলা না করে একে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
করণীয়
এখন পর্যন্ত ভাইরাস-উত্তর অসুখের মোকাবেলার সঠিক উপায় আমরা জানি না। তাই আপাতত প্রতিরোধের দিকে নজর দিতে হবে। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে এবং আক্রান্ত হলে সংক্রমণ যাতে অন্যদের মাঝে না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
* চারদিকে সংক্রমণ দেখা দিলে মাস্ক পরতে হবে।
* পরামর্শ মতো টিকা (ফ্লু শট) নিতে হবে।
* অসুস্থ বোধ করলে ঘরে থাকতে হবে।
* সেরে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
* প্রচুর পানি পান করতে হবে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%a8%e0%a6%be/
* যত পারা যায় ঘুমাতে হবে।
* স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।