বাংলা টেলিভিশনের তারকাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা অভিনয়ে পা রাখার আগে বড় বড় কর্মক্ষেত্রে উঁচু পদে চাকরি করতেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার সরকারি চাকরি পর্যন্ত পেয়েছিলেন।
নিরাপদ পেশা, মোটা টাকার বেতন, তাদের জীবন ছিল বেশ সুখের। কিন্তু অভিনয়ের স্বপ্নপূরণ করতে গিয়ে তারা নিরাপদ জীবনও বিসর্জন দিয়েছেন। আজ এই প্রতিবেদনে রইল সেই সমস্ত তারকাদের তালিকা যারা চাকরি ছেড়ে অভিনয়ে যোগ দিয়েছিলেন।
তৃণা সাহা : ২০১৫ সালে ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’ ছবির হাত ধরে শুরু হয়েছিল অভিনয় জগতে তার যাত্রা। তারপর একের পর এক বাংলা ধারাবাহিকে তাকে পাওয়া গিয়েছে। ‘মার্ডার বাই দ্য সি’ ওয়েব সিরিজেও তিনি অভিনয় করেছেন। তবে এমবিএ, সিএস পড়াশোনা করে তিনি দিল্লিতে মোটা বেতনের চাকরি করতেন। চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি তার অভিনয়ের স্বপ্নপূরণ করতে আসেন ইন্ডাস্ট্রিতে।
বিশ্বজিৎ ঘোষ : স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কে আপন কে পর’ এর নায়ক পরম চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এই অভিনেতা। তারপর থেকে তাকে দর্শকরা এখনও সেই নামেই চেনেন। ইনিও কিন্তু অভিনয় জীবন বেছে নেওয়ার আগে টিসিএসে ভাল বেতনের চাকরি করতেন। এখন জি বাংলার ‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিকে তাকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে।
জয়ী দেব রায় : ‘হৃদয় হরণ বিএ পাস’ ধারাবাহিকের নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছিলেন জয়ী। তার পরিবারের কেউই চাইতেন না তিনি অভিনয়ের পথ বেছে নিন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে এমবিএ ডিগ্রী পেয়েছিলেন জয়ী। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত একটি সংস্থায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। অভিনয়ের জন্য তিনি সেই কাজ ছেড়ে দেন।
সানন্দা বসাক : ‘গোয়েন্দা গিন্নি’, ‘জয়ী’, ‘নেতাজি’, ‘প্রথমা কাদম্বিনী’র মত একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন সানন্দা। বেশিরভাগ ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রেই পাওয়া গিয়েছে তাকে। অভিনয় জীবন বেছে নেওয়ার আগে প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে তিনি ভাল বেতনের চাকরি করতে একটি সংস্থায়।
সৌরভ চট্টোপাধ্যায় : বর্তমানে এই অভিনেতাকে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে বড় জামাই রাজিবের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। এর আগেও তিনি বহু ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। গোয়েন্দা গিন্নি, ভুতু তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য। ইনি বাংলা সিরিয়ালের পাশাপাশি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। অভিনয় জীবনে আসার আগে তিনি ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। অভিনয়ের জন্য সরকারি চাকরিও ছেড়ে দেন তিনি।