প্রযুক্তি ছাড়া আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি কখনোই সম্ভব নয়। অর্থাৎ আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ রূপে প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে আধুনিক শিক্ষার লক্ষ্য থেকে শুরু করে, শিক্ষায় পাঠক্রম, শিক্ষাদান পদ্ধতি প্রভৃতি নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদান যে সমস্ত দিক থেকে পরিলক্ষিত হয়।
1. শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ ও প্রযুক্তি
আধুনিক শিক্ষার লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধন করা। শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সাধনের ক্ষেত্রে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া আধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার ফলে শিক্ষার লক্ষ্যও প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় – আধুনিক বিশ্বে কম্পিউটার একটি অন্যতম আবিষ্কার। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম্পিউটারের জ্ঞান অর্জন করা আধুনিক শিক্ষার একটি লক্ষ্য হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এদিক থেকে বলা যায় প্রযুক্তি শিক্ষার লক্ষ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
2. শিক্ষার পাঠক্রম নির্ধারণ ও প্রযুক্তি
বর্তমান যুগ প্রযুক্তি নির্ভর। তাই শিক্ষার লক্ষ্যও প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে নির্ধারিত হচ্ছে। সমাজ সহ শিক্ষার সর্বত্র ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অসামান্য অবদান পরিলক্ষিত হয়। আধুনিক শিক্ষার লক্ষ্য অনুযায়ী পাঠক্রম নির্ধারণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিশেষ ভূমিকা বর্তমান।
3. শিক্ষাদান পদ্ধতি ও প্রযুক্তিবিদ্যা
শিক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাদান পদ্ধতিকে আরোও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব হয়। তাই শিক্ষাকে আরো বেশি শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদান বর্তমান।
4. প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিক্ষা সহায়ক উপকরণ যথাযথ ব্যবহার করতে হলে প্রযুক্তির সাহায্য অবশ্যই প্রয়োজন। তাই শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহজে মনোযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদান বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
5. প্রোগ্রাম শিখনের মাধ্যমে শিক্ষা
প্রোগ্রাম শিখনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দ্রুত শিখনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রোগ্রাম শিখনকে কার্যকরী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদান বর্তমান।
6. শিক্ষণ মডেল ও প্রযুক্তিবিদ্যা
বর্তমানে শিক্ষাদান পদ্ধতিকে আরও আকর্ষণীয় ও শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক করার জন্য বিভিন্ন মডেল ভিত্তিক শিক্ষা বা শিক্ষণ মডেলের উদ্ভাবন হয়েছে। এই মডেল গুলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়ে থাকে। যেমন – প্রোগ্রাম শিখন (Programme Learning), তথ্য প্রক্রিয়াকরণ শিক্ষণ মডেল (Information Processing Teaching Model) প্রভৃতি।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার:
অনলাইনের মাধ্যমে PDF আকারে যেকোনো বই দ্রুত সংগ্রহ করা সম্ভাব।
শিক্ষায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে শিক্ষার্থীর মনোযোগ আকর্ষণ।
বিনা পরিশ্রমে ঘরে বসে উচ্চ মানের শিক্ষা গ্রহন সম্ভব।
শিক্ষা বিষয়ক সকল আপডেট ও ভালো পরামর্শ পাওয়া সম্ভব।
যেকোনো সময় রেকর্ডেট ক্লাস ও শিক্ষা গ্রহন করা সম্ভব।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির রয়েছে নানা প্রকার ব্যবহার, প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা। তবে এখানে আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছে যা অনেক বেশি ব্যবহৃত হয় শিক্ষাক্ষেত্রে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কাজ এত বেশি হওয়ার মূল কারণ হলো ডিজিটাল ধারণা ও ডিজিটাল পৃথিবী। সকল কিছুর জ্ঞান তুচ্ছ করে তোলার জন্য এবং যেকোনো তথ্য হায়দার নাগালে পাওয়ার জন্য তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় শিক্ষা ক্ষেত্রে।