সানিয়া মির্জার চেষ্টা কিংবা পরিবারের অনুরোধ কিছুতেই মন টলেনি পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের। দুবাইয়ে সাবেক ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে আলাপও হয়েছে। সেখানেও শোয়েবের পরিবার তাকে অনুরোধ করেছিলেন সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ না করার। কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি। ঠিকই সবার অগোচরে মডেল এবং অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে জীবনকে জড়ালেন শোয়েব মালিক।
শোয়েব মালিকের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে যে তার পরিবার অখুশি তা আগেই প্রকাশ পেয়েছিল। এ বার প্রকাশ্যে এল আরও এক তথ্য। জানা গিয়েছে, সানিয়া মির্জার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল তার পরিবারের পক্ষ থেকে। এমনকি দুই পরিবারের মধ্যে সাক্ষাতের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু শোয়েব নিজেই চাননি এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে। এক বার সানিয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেও কোনও সমাধান বেরোয়নি।
পাকিস্তানের সামা টিভির লাহোর ব্যুরো চিফ নাঈম হানিফ জানান, গত তিন বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্কে যুক্ত ছিলেন সানা এবং শোয়েব। সেসময় দুজনেই অবশ্য বিবাহিত ছিলেন। গত তিন-চার মাস আগে এই বিষয়ে জানতে পারেন সানিয়া মির্জা। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল বলেও জানান এই সাংবাদিক।
এরও আগে, পাকিস্তানি ক্রিকেটারের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ঠেকাতে সানিয়া তার (শোয়েব মালিক) পরিবারের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করেন। সেইসঙ্গে দুবাইয়ে তাদের বৈঠকের আমন্ত্রণও জানান। সেই বৈঠকে শোয়েব মালিককে বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তিনি সায় দেননি। পাকিস্তানি সাংবাদিকের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘জল তখন অনেকদূর গড়িয়েছে।’
ওই দৈনিকের দাবি, বিয়ে নিয়ে যাবতীয় সমস্যা মেটানোর জন্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাক এটা শোয়েবের পরিবারই চায়নি। ২০২২ সালে সেই বৈঠকের পরেই কার্যত বিচ্ছেদের পথে হাটতে থাকেন দুজনে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ‘দ্য পাকিস্তান ডেইলি’ জানিয়েছে, এ বিয়েতে মালিকের পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। সানিয়ার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের একটি কারণও সেখানে বলা হয়েছে মালিকের বোনের বরাত দিয়ে। পত্রিকাটি লিখেছে, ডিভোর্সি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে শোয়েব মালিকের তৃতীয় বিয়েতে তার পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
পত্রিকাটি জানায়, ‘টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নিয়ে মালিকের বোনেরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বলা হচ্ছে, মালিকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সানিয়া হাঁপিয়ে উঠেছিলেন।’