দুজন মানুষ একসঙ্গে, একই ছাদের নিচে থাকতে গিয়ে টুকিটাকি ঝামেলা আসতেই পারে। দুজনে মিলে সেসব মিটিয়েও নেয়া যায়। কিন্তু অনেকসময় ইগোর কারণে, কেউ কারও কাছে ‘ছোট’ হতে না চাওয়ার কারণে ছোটখাট সমস্যাই বৃহৎ আকার ধারণ করে। তখন চাইলেও অনেককিছুই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় না।
আবার এমন অনেক দম্পতি রয়েছেন যারা দীর্ঘ সময় ধরে তাদের সংসারে শান্তি বজার রেখে চলেছেন। তাদের মতো সুখী দম্পতি হয়ে সংসার করে যেতে চাইলে আপনাকেও মাথায় রাখতে হবে কিছু বিষয়। সংসারে অশান্তি এড়াতে মেনে চলুন এই বিষয়গুলো-
পরস্পরের প্রতি অভিযোগ করা অনেকেরই অভ্যাস। সম্পর্কে মতের অমিল, মনের অমিল হতেই পারে। কিন্তু সেই অমিলকে কী ভাবে সামলাচ্ছেন আপনি, সেটাই সম্পর্ক কেমন থাকবে তার চাবিকাঠি। সঙ্গীর কোনো স্বভাব বা আচরণ যদি পছন্দ না হয়, তাহলে সবসময় অভিযোগ করবেন না। বরং সরাসরি কথা বলুন তার সঙ্গে।
সব মানুষের ভেতরেই কোনো না কোনো অসম্পূর্ণতা থাকে। তাই সঙ্গীর কিছু বিষয় আপনার ভালো নাই লাগতে পারে। সব বদলাতে যাবেন না যেন! এতে ভিতরে ভিতরে সমস্যা তৈরি হয়। তিনিও অস্বস্তিতে থাকেন। তাই যেসব ভুলত্রুটি একেবারেই অমার্জনীয় বা ক্ষতিকর নয়, সেসব ছাড় দিন।
সম্পর্কে যতই বৈরী সময় পার করুন না কেন, কথা বন্ধ করবেন না একেবারেই। কথা বন্ধ করে দেওয়ার প্রভাব ঝগড়ার চেয়েও মারাত্মক। ঝগড়া মেটাতে শান্ত হোন। ইগো ঝাড়ুন। কে আগে কথা বললেন, কে পরে এ সব না ভেবে নিজেই যান। সমস্যাটা মেটাতে আলোচনা করুন। কার ভুল সে হিসাব না করে নিজেই সরি বলে দিন। এই এক শব্দে অনেক সমস্যাই মিটে যায়।
শারীরিকভাবে দূরত্ব বাড়ানো যাবে না। ঝগড়া হলেও পরস্পরের কাছাকাছি থাকুন। অনেক সমস্যারই সমাধান হয় এতে। আসলে কাদা ছোড়াছুড়ি ও দোষারোপের তিরে ফালা ফালা হয় সম্পর্ক। তাই শারীরিকভাবে দূরে সরে গেলে সহজ হওয়ার পথে আরও বাধা আসে।এভাবে নিজেদের অশান্তিকে বাড়িয়ে তুলবেন না এভাবে।
সংসারে শান্তি বজায় রাখতে হলে কিছু স্বার্থত্যাগ করতেই হয়। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ধূমপান এসব অভ্যাসে রাশ টানুন। প্রিয় মানুষটির পছন্দ-অপছন্দের দামও দিতে শিখুন।