সকালের খাবারটা স্বাস্থ্যকর হলে দিনটা সহজ হয়ে যায়। কারণ শরীর সঠিকভাবে পুষ্টি পেলে কাজ করার শক্তিও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তাই কখনোই সকালের খাবার এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। বরং পেটপুরে খাওয়া উচিত। এখন কথা হলো, সকালে কী খাবেন? অনেকেই প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। এতে অনেক সময় খাবারের প্রতি অনীহা চলে আসতে পারে। তাই সকালের খাবারে বৈচিত্র আনতে হবে। খেতে পারেন উপকারী এই ৫ খাবার-
১. ডিম
ডিমে প্রচুর প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন বি, ভিটামিন এ, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান রয়েছে। তাই সকালের খাবার হিসেবে উপযুক্ত হতে পারে ডিম। এটি সব বয়সীদের জন্যই উপকারী। বিশেষ করে শিশুর খাবারে ডিম রাখা বেশি প্রয়োজন।
২. হোল গ্রেইন টোস্ট
সাদা রুটির তুলনায় হোল গ্রেইন টোস্টে ফাইবার এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। এগুলোতে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ানোর সম্ভাবনাও কম। তাই সকালে সাদা রুটি বা টোস্টের বদলে হোল গ্রেইন রুটি বা টোস্ট খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৩. চিয়া বীজ
চিয়া বীজ ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টির একটি ভালো উৎস। এর সঙ্গে দই, পনির ইত্যাদি মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা কোনো প্রোটিন শেক তৈরি করেও খেতে পারেন। যেভাবেই খান না কেন, চিয়া বীজ আপনার শরীরের জন্য উপকারী হিসেবেই বিবেচিত হবে।
৪. বাদাম
বাদাম প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবারের একটি সমৃদ্ধ উৎস। এটি ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। দই, ওটমিলে যোগ করুন বা সরাসরি খেতে পারেন অথবা আলাদাও খেতে পারেন। তবে খুব বেশি খাওয়ার প্রয়োজন নেই, একমুঠোই যথেষ্ট।
৫. পনির
পনিরে প্রোটিন বেশি এবং ক্যালোরি কম থাকে। এটি সকালের বিভিন্ন খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ভাজাপোড়া বা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। দিনের শুরুতে খাবারগুলো যেন স্বাস্থ্যকর হয় সেদিকে নজর রাখুন।