সকালের নাস্তা বা ব্রেকফাস্ট সারাদিনের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে। তাই নিঃসন্দেহে এটি দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা হতে পারে ক্যালসিয়াম এবং আঁশ জাতীয় খাবারের ভালো উৎস। খেতে পারেন প্রোটিন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগানোর জন্য সকালের নাস্তা খাওয়াটা বেশ জরুরী। এটি শক্তি জোগায়। সকালে ভরপেট নাস্তা করলে দুপুরের আগে খুব বেশি খিদে লাগে না, কারণে-অকরণে এটা-সেটা খাওয়ারও দরকার হয়না।
এছাড়া নাস্তা খাওয়ার সঙ্গে শরীরের ওজনের যোগসূত্র রয়েছে। শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখতে সকালের নাস্তার বড় ভূমিকা থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ২৬০ ক্যালরির বেশি খেয়ে থাকেন, তাদের ওজন যারা সকালে নাস্তা করেন না, তাদের তুলনায় অন্তত এক পাউন্ড বেশি হয়। আর শিশুদের ক্ষেত্রে সকালের ভালো নাস্তা মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়াতে ভীষণ সাহায্য করে। তাই দেরি না করে সকালের নাস্তা সময়মতো খাওয়া উচিত।
অনেকেই আছেন রাতে অনকেটা সময় জেগে থাকেন। তারা দেরি করে খাবার খান। সেজন্য সকালে খিদেও লাগে না। তারা ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ একসঙ্গে অর্থাৎ ‘ব্রাঞ্চ’ করেন। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভালো নয়।
স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা হতে পারে ক্যালসিয়াম এবং আঁশ জাতীয় খাবারের ভালো উৎস
সকালের নাস্তায় কী খাবেন
প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। তাই সকালের নাস্তা বা ব্রেকফাস্টে ডিম খেতে পারেন। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলস থাকে। আর এতে ক্যালরিও থাকে বেশ কম।
অনেকেই নাস্তায় আটার রুটি খেতে পছন্দ করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। রুটি সঙ্গে শাক-সবজি, ভাজি, ডিম, ঝোলের তরকারি খেতে পারেন। কেউ কেউ কলা দিয়ে আটার রুটি খেতে পছন্দ করেন। এটিও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
সকালের নাস্তা বা ব্রেকফাস্টে ডিম খেতে পারেন। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলস থাকে
সারাদিনের এনার্জি পেতে ওটমিল খেতে পারেন। কারণ, ওটসে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাংগানিজ, কপার, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, ফলেট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন বি৬। ওটস খেতে পারেন দুধ, ফল ও বাদাম মিশিয়ে।
এছাড়া সকালের নাস্তায় সবজি খিচুড়ি রাখতে পারেন। আর নাস্তার অন্তত মিনিট ১৫ পর ফলমূলও খেতে পারেন। এতে খাদ্য বিপাক ক্রিয়া ভালো হয়। কলা, আপেল, কমলা, আঙুর রাখতে পারেন এ তালিকায়।
চর্বিযুক্ত গ্রিক দই, বাদামও রাখতে পারেন সকালের নাস্তা বা ব্রেকফাস্টে
অনেকেই আছেন শুধু গ্রিন টি এবং বিস্কুট খেয়ে থাকেন। অ্যাপেল পাই খেতে পারেন। সঙ্গে রাখুন দারুচিনি ও সেদ্ধ করা মটরশুটি। কম চর্বিযুক্ত গ্রিক দই, বাদামও রাখতে পারেন নাস্তায়। টোস্টের সাথে ঘন করে অ্যাভোকাডোও শরীরের জন্য উপকারী।