প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যে বয়সের ছোট-বড় ব্যবধানে কিছু অসুবিধা থাকে। প্রায় সব দম্পতিই কমবেশি এই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। কখনো কখনো এই ধরনের দম্পতিরা সমাজে ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে দুইজন দুই প্রজন্মের হলে বোঝাপড়া প্রয়োজন। অল্পবয়সী বা বয়স্ক কারো সাথে সম্পর্কে জড়ালে কিছু বিষয়ের ওপর লক্ষ্য রাখা দরকার।
১. ভবিষ্যতের লক্ষ্য ঠিক করা
সম্পর্কে বয়সের ব্যবধান বেশি থাকলে কিছু বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন। উভয়ের মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং জীবনের লক্ষ্যগুলো একই কি না মিলিয়ে দেখুন। এটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ভবিষ্যতের লক্ষ্যগুলো নিয়ে চিন্তা করুন। দেখুন তা সঙ্গীর সাথে মিলে কি না। সেই ব্যক্তিটি আপনার পরিবার বা বন্ধুদের সাথে মানানসই কি না তাও দেখুন। সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটি খুবই জরুরি।
২. মন্তব্য এড়ানো
একটি আধুনিক সমাজে বসবাস করা সত্ত্বেও সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশি বয়সের ব্যবধান অনেকসময় বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ মানুষের কৌতূহলুদ্দীপক প্রশ্ন ও অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যগুলো বেশ বিরক্তিকর। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যে কারও ক্ষেত্রেই অস্বস্তিকর। বিদ্বেষীরা ঘৃণা করবে। লোকেদের মতামত থাকবেই। কিন্তু আপনাদের দুইজনকেই তা এড়িয়ে যেতে হবে।
৩. সঙ্গীর মতামতকে সম্মান
সঙ্গীর বয়স যদি ৭ বছর বা তার বেশি ব্যবধানের হয়ে থাকে তাহলে দ্বিমত থাকতেই পারে। পছন্দ ও অপছন্দের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য হতে পারে। একটি খুবই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বিচলিত হবেন না। সঙ্গীর মতামতকে সম্মান করুন।
৪. ধৈর্য রাখুন
যে কোনও সম্পর্কের জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন। বিশেষ করে যখন বয়সের যথেষ্ট ব্যবধান থাকে। একে অপরের জীবনধারার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লাগবে। সঙ্গীর সাথে নিজের পার্থক্যগুলো মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
৫. জেনারেশন গ্যাপ গ্রহণ করা
প্রজন্মের ব্যবধান প্রেমের ধারণা সম্পর্কে ভিন্নমত প্রদর্শন করে। এক এক প্রজন্মের মানুষের এক এক রকম প্রত্যাশা। দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের জন্য সঙ্গীর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলুন। তার প্রত্যাশা পূরণ করতে চেষ্টা করুন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%87%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%b2/
৬. সৎ থাকুন
আপনার রাজনৈতিক বিশ্বাস, নৈতিকতা এবং স্বার্থ সম্পর্কে সৎ হওয়া অপরিহার্য। কারণ কেউ এমন একটি সম্পর্কে থাকতে চাইবে না যেখানে নিজের বিশ্বাস বা জীবনধারা পরিবর্তন করতে হয়। সঙ্গীর প্রতি সৎ থাকুন। বিশ্বাস রাখার চেষ্টা করুন।