শীতের বাজার সবসময় বাহারি শাক-সবজি আর ফলে সুসজ্জিত হয়ে থাকে। যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই রঙিন। গাজর, বিট, বিনস, ব্রকোলি, টমেটো, ক্যাপসিকাম, শিম এসব যেমন একদিকে থাকে তেমনই অন্যদিকে থাকে কমলা, লেবু, আপেল, পেয়ারা, আঙুর, ডালিম-সহ একাধিক ফল। শীত মানেই ফল আর ফুলের মেলা। কমলা ছাড়াও শীতকালে আরও যে সব ফল বাজার মাতিয়ে রাখে তা হলো শাঁকালু, সবেদা। দেশি এই ফল খেতে যেমন ভালো তেমনই পুষ্টিগুণও অনেক।
মাটির নীচে হওয়া সাদা এই ফলটি খেতে ভালবাসেন অনেকেই। অনেকের আবার মনে ভয় থাকে বেশি খেলে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার। তবে সব মৌসুমের ফলই খাওয়া উচিত।
জেনে নিন সবেদা-শাঁকালুর উপকারিতা-
>> শাঁকালুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় ফাইবার। যা হজমে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গ্যাস, অম্বলও হয় না। যাদের আইবিএস বা পেটের অন্যান্য কোনও সমস্যা রয়েছে তার জন্যেও খুব উপকারী হলো শাঁকালু। শাঁকালুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে সেই সঙ্গে হজম করতেও সাহায্য করে। যে কারণে শীতের দিনে যদি শুধুমাত্র ফল ডায়েট করেন তাহলে শাঁখালু অবশ্যই খাবেন নিয়ম করে। এতে তাড়াতাড়ি ফ্যাট কমবে। অল্পেই পেট ভরে যাবে।
>> সবেদার মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতে এই ফল পাওয়া যায় সবচাইতে বেশি। প্রাকৃতিক ভাবেই সবেদার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফ্রুকটোজ। এছাড়াও এই ফলের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ই, সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যা চুল আর ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষাতেও খুব ভাল কাজ করে। এসব বাদ দিলেও সবেদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভাল উৎস। এছাড়াও সবেদা সহজপাচ্য। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ফসফরাসের খুব ভাল উৎস হল এই সবেদা। যে কারণে অন্য যে কোনও ফল খাওয়া হোক বা নাই হোক সবেদা, শাঁকালু অবশ্যই খাবেন।