আমরা প্রায় সবাই এটি শুনে থাকি যে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে বোঝাপড়াই মূল বিষয়। একটি সুন্দর সম্পর্কে ভিত্তি কিন্তু এই বোঝাপড়াই। আপনার চিন্তাভাবনার প্রকাশই কিন্তু আপনাকে উপস্থাপন করে। দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়া যত ভালো হবে, সম্পর্ক ততই দৃঢ় হবে। সেজন্য আপনাকে প্রথমেই একজন মনোযোগী শ্রোতা হতে হবে। কারণ সঙ্গী কথা না শুনে শুধু নিজেরটাই বলে গেলে দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়াটা সঠিক হবে না। জেনে নিন পাঁচটি উপায় যার মাধ্যমে প্রিয় মানুষের কাছে নিজের ভাবনার প্রকাশ করতে পারবেন-
স্বচ্ছ থাকুন, নিজের প্রয়োজন জানান
সম্পর্ক ভাঙার পেছনে বেশিরভাগ সময়েই ভুল বোঝাবুঝি দায়ী থাকে। যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই আবেগ এবং মানসিক সমর্থন না থাকলে তা ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে। চাওয়াগুলো না পাওয়াতে পর্যবসিত হতে থাকলে সম্পর্কে দূরত্ব বাড়বেই। তাই একে অপরের কাছ থেকে প্রত্যাশা সম্পর্কে জানুন এবং সম্পর্কের বিষয়ে সচেতন হোন। এতে করে অনেক সমস্যা থেকেই মুক্ত থাকা যায়।
তিনি আপনার মন পড়তে পারেন না
কখনো কখনো আমরা আমাদের রাগ, অসন্তুষ্টি বা সুখের মতো গভীর অনুভূতির বিষয়গুলো আমাদের মুখের অভিব্যক্তি দিয়ে প্রকাশ করি। আপনি যদি মনে করেন, কোনো কথা না বলে শুধু মুখের অভিব্যক্তির মাধ্যমেই আপনার সঙ্গীকে মনের কথা বলে দিতে পারবেন, তবে সেটি ভুল। আপনার সঙ্গী নিশ্চয়ই যাদু জানেন না! তাই ঝগড়া হলে তার রেশ ধরে না রেখে এবং এড়িয়ে না চলে বরং সে বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। কোথায় ভুল হয়েছে তা ধরতে পারলে সমাধান সহজ হয়ে যাবে।
শুনুন এবং তারপর আলোচনা করুন
প্রথমেই বলেছি, সম্পর্ক সুন্দর রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই মনোযোগী শ্রোতা হতে হবে। আমরা বেশিরভাগ সময়েই কিন্তু অন্যের গল্পটি শুনতে চাই না বা এড়িয়ে যাই। কিন্তু প্রতিটি সম্পর্কে দু’জনেরই সমান সমান বক্তব্য থাকে। এমনকী আপনি যদি আপনার মতামতা সঠিকভাবে প্রকাশ করতে না পারেন, সেটিও সঙ্গীকে জানান। সম্পর্ক সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য সঠিক যোগাযোগ ও বোঝাপড়া থাকতে হবে।
দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলুন
একই ছাদের নিচে বসবাস করতে হলে দু’জনকেই কিছু কিছু বিষয়ে ছাড় দিয়ে চলতে হয়। যুক্তি, মতবিরোধ এমনকি ঝগড়াও যেকোনো সম্পর্কের একটি নিয়মিত অংশ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কে কীভাবে এই দ্বন্দ্বগুলো সমাধান করেন। ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝিগুলো সম্পর্ককে অবনতির দিকে ঠেলে দেয় যদি না তার দ্রুত সমাধান হয়। এসব ক্ষেত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগেই সমস্যার সমাধান করে নিন। এতে পরের সকালটি আপনাদের কাছে আরও সুন্দর হয়ে ধরা দেবে।
পরস্পরের জন্য সময় রাখুন
ব্যস্ত জীবনে অফিস, সংসার, আত্মীয়তা ইত্যাদি সামলাতে গিয়ে সঙ্গীর থেকেই আমরা দূরে সরে আসি। পরস্পরের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আপনিও যদি তাদের দলে থাকেন যারা বাড়ির থেকে অফিসেই বেশি সময় ব্যয় করেন, তবে সেই অভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। ভালোবাসা এমন এক সম্পদ যেখানে বিনিয়োগ করলে কেবল বাড়তেই থাকে। কাজের ফাঁকে ছোট্ট একটা মেসেজ, পাশাপাশি বসে কফির কাপে চুমুক- এরকম ছোট ছোট আরও অনেক বিষয় একটি সম্পর্ক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। তাই সঙ্গীর জন্য আলাদা করে কিছুটা সময় রাখুন।