ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ঠাকুরগাঁওয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ ডিগ্রির ঘরে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ৭টায় ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কয়েকদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। শনিবারও সূর্যের দেখা মিলেছিল শেষ বিকেলে। তাও ১০ মিনিটেরও কম সময়ের জন্য। ফলে শীতের তীব্রতা বেশি। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। ঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় তাদের আয় উপার্জনে ব্যাঘাত ঘটছে। এ ছাড়া শীত নিবারণের জন্য পুরাতন মোটা কাপড়ের (হকার্স মার্কেট) দোকানগুলোতে মানুষ ভিড় করছেন।
এদিকে শীত ও ঘন কুয়াশা কৃষকদেরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠে থাকা আলু ও টমেটো খেতে দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। আবার বোরো চারাও ঠিকভাবে অঙ্কুরোদগম হচ্ছে না।
ঠাকুরগাঁও সদরের গড়েয়া এলাকার কৃষক আশরাফুল বলেন, আমার কয়েকটি জমির আলুর পাতায় মোড়ক দেখা দিয়েছে। এটি মূলত শীত ও ঘন কুয়াশার কারণেই। এখন ঘন ঘন বালাইনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%af/
মিলনপুর এলাকার কালাম জানান, বোরো বীজতলায় বীজ বপন করলেও চারা গজাচ্ছে না। শীতের কারণে চারা একটু কম গজায়। আবার যেগুলো গজিয়েছে সেগুলোও লাল বর্ণ ধারণ করছে। অনেক সময় মরে যাচ্ছে।