টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সংজ্ঞাটাই যেন বদলে দেয়ার মিশনে নেমেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চলতি আসরে মারকুটে ব্যাটিংয়ের নতুন এক ধারাই যেন শুরু করে দিয়েছে আইপিএলের কমলা শিবির। গতকাল রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে দেখা গেল অন্যরকম এক ঝড়। যে পিচে লখনৌ সুপার জায়ান্টস রান করতে হিমশিম খেয়েছে, তাতে রীতিমত চার-ছয়ের বৃষ্টি নামিয়েছে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার।
৬২ বল বাকি থাকতে দশ উইকেট হাতে রেখে হায়দরাবাদ পেরিয়ে গিয়েছে ১৬৬ রানের টার্গেট। একইদিনে তারা গড়েছে একাধিক রেকর্ড। সংখ্যায় সংখ্যায় হায়দরাবাদের সেসব রেকর্ড দেখে নেয়া যাক এক ঝলকে।
১৪৬ – এবারের আইপিএলে সানরাউজার্স হায়দরাবাদের ছক্কার সংখ্যা। আইপিএলের এক আসরে কোন দলের সাপেক্ষে এটাই সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড। এর আগে আইপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ ১৪৫টি ছয় মারার রেকর্ড গড়ে চেন্নাই সুপার কিংস। ২০১৮ সালে তৃতীয় আইপিএল শিরোপা জয়ের আসরে তারা ওই রেকর্ড গড়ে।
১৬৬ – টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে ১০ ওভারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জিতেছে হায়দরাবাদ। লখনৌর এই টার্গেট পেরুতে তাদের খেলতে হয়েছে মোটে ৫৮ বল। অর্ধেকের বেশি বল বাকি রেখেই জয় পেয়ে যায় তারা।
৬২ – ১০০এর বেশি রান তাড়া করার নিরিখে সব থেকে বেশি বল বাকি থাকতে জয়।
৪ – এ বারের আইপিএলে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ট্রেভিস হেডের অর্ধশতরানের সংখ্যা। এবারের আইপিএলের সাপেক্ষা যা সবচেয়ে বেশি। অবশ্য সব আইপিএল মিলিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের পাওয়ারপ্লেতে রয়েছে ৬টি ফিফটি। সেই হিসেবে তিনিই থাকছেন শীর্ষে।
৩ – ২০ বলেরও কম খেলে তিন বার অর্ধশতরান করলেন হেড। ছুঁয়ে ফেললেন দিল্লির জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে। দুই অজি তারকাই যে স্বপ্নের মতো আইপিএল পার করছেন তা অনায়াসে বলা যায়।
৫৮ বলে ১৬৭, বিনা উইকেটে জিতল হায়দরাবাদ
২ – পাওয়ার প্লে-র মধ্যে চলতি আসরে দু’বার ১০০-র বেশি স্কোর করেছে হায়দরাবাদ। আর কারও এই নজির নেই।
৩৫ – এ বারের আইপিএলে অভিষেক শর্মার ছক্কার সংখ্যা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ট্রেভিসের থেকে ৪টি বেশি।
৮০ – দু’টি দলের পাওয়ার প্লে-তে ওঠা রানের পার্থক্য। আইপিএলের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বেশি।