বাংলাদেশ নারী ফুটবলের অন্যতম সেরা ফুটবলার সাবিনা খাতুন। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এনে দিয়েছে অনেক সাফল্য। ফলস্বরূপ প্রায় প্রতি মৌসুমেই দেশের বাইরে নারী লিগের বিভিন্ন ক্লাব থেকে খেলার প্রস্তাব পান তিনি। গত বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতের লিগে খেলার প্রস্তাব পেলেও, বাফুফের ছাড় পত্রের জন্য খেলার সুযোগ পাননি তিনি। তবে চলতি মৌসুমে ভারতের কর্ণাটকের ক্লাব কিকস্টার্ট ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে তিন মাসের জন্য চুক্তি করেছেন এ ফরোয়ার্ড।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবিনা খাতুন। তিনি বলেন হ্যাঁ, আমি এবার ভারতের ক্লাব কিকস্টার্টের হয়ে খেলব। ভিসার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছি। ভিসা পেলেই সেখানে চলে যাবে। তিন মাসের চুক্তি শেষ হবে মার্চে।
এর আগে ২০১৮ সালে ভারতী লিগে সেতু এফসির জার্সি গায়ে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে এবার সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই কিকস্টার্টের হয়ে অভিষেক হতে পারে সাবিনার।
ভারতের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াটা সময়সাপেক্ষ। এটা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত সাবিনা। কারণ, কিকস্টার্ট ফুটবল ক্লাবের কর্তারা চাচ্ছেন ১২ জানুয়ারির গোকুলাম কেরালার বিপক্ষে ভারতের নারী লিগের ম্যাচে সাবিনাকে পেতে। কিন্তু বাস্তবে সেই সম্ভাবনা নেই। তাই ১৭ জানুয়ারি সেতু এফসির বিপক্ষে ক্লাবটির হয়ে মাঠে নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক।
তিনি বলেন, আমি যেন দ্রুতই যেতে পারি, সেই চেষ্টা ক্লাবও করছে। যেহেতু সুযোগ পেয়েছি, তাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। এটা শুধু আমার নিজের জন্যই নয়, দেশের জন্যই সম্মানের। আশা করি, ভালো করতে পারব।
সাবিনার নতুন ক্লাব কিকস্টার্ট তিনবার কর্ণাটক নারী লীগের শিরোপা জিতেছে। এ ছাড়াও ভারতের নারী ফুটবল লিগে দু’বার কোয়ালিফাই করেছিল ক্লাবটি। ২০১৯-২০ মৌসুমে লিগে তৃতীয় এবং ২০২২-২৩ মৌসুমে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রানার্সআপ হয়েছিল তারা। তাই এবার সরাসরি ভারতীয় নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে খেলছে তারা। উড়িষ্যা এফসি এবং গোকুলাম কেরালার সঙ্গে শিরোপার জন্য লড়ছে তারা। তিন খেলায় সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে উড়িষ্যার সঙ্গে শীর্ষে আছে কিকস্টার্ট।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%9a/
গত বছর সাবিনা ছাড়াও বাফুফে থেকে ছাড়পত্র পাননি কৃষ্ণা রানী সরকার। অথচ জমকালো আয়োজন করে ঘোষণা দিলেও মেয়েদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মাঠে গড়াতে পারেনি ফুটবল ফেডারেশন। তাদের ব্যর্থতার বলি হয়েছিলেন ফুটবলাররা। যারা কিনা বিদেশি লিগে খেলে অর্থ উপার্জন করতে পারতেন।