কেবল বাইরে থেকে যত্ন নেওয়াই যথেষ্ট নয়, বরং আমরা কী খাচ্ছি তার ওপরে অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের ত্বক কেমন থাকবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। সেইসঙ্গে এমন সব খাবার খেতে হবে যেগুলো ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। বাদ দিতে হবে জাঙ্কফুড সহ সব ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার হিসাবে পরিচিত কিছু খাবার ত্বক উজ্জ্বল করার কাজে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৭টি খাবার সম্পর্কে-
টমেটো
টমেটো লাইকোপেন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই দুই পুষ্টি উপাদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য দারুণ কার্যকরী। টমেটো কাঁচা খেতে পারেন, রান্না করে কিংবা সস তৈরি করেও খেতে পারেন।
রসুন অন্যতম প্রাকৃতিক খাবার যা প্রদাহ বিরোধী হিসেবে কাজ করে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। আপনার প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে রসুন যোগ করুন। এতে ত্বক ভালো রাখা অনেক সহজ হবে।
সবুজ শাক
পালং শাক সহ যেকোনো সবুজ শাক প্রদাহ বিরোধী। এ ধরনের শাকে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আপনার প্রতিদিনের খাবারে সবুজ শাক যোগ করুন। ক’দিন পরে ত্বকের পরিবর্তনটা নিজেই বুঝতে পারেন।
বাদাম
বাদাম সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে একটি। গবেষণায় দেখা গেছে যে এতে প্রদাহ-বিরোধী যৌগ রয়েছে। চিনাবাদাম, আখরোট, কাজুবাদামের পাশাপাশি বীজ যেমন কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখী বীজ এবং তিল ত্বকের যত্নে অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত।
ব্লুবেরি
সব ধরনের ফলই প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তবে ব্লুবেরি একটু বেশিই কার্যকরী। কারণ এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ব্লুবেরি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক উপাদান প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহ মোকাবিলা করে। যে কারণে ব্লুবেরি খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয় দ্রুতই।
অ্যাভোকাডো
ওমেগা-৩-এর মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরে প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব ফেলে। অ্যাভোকাডোতে আছে এই উপকারী ফ্যাট। এতে আরও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে কোমল ও উজ্জ্বল করতে কাজ করে।