চার বছর আগে যে দিনটাই (৯/২/২০২০) দেশকে বিশ্বকাপ শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন সেই দিনটাই ভুলে গেছেন তাওহীদ হৃদয়। ভুলে যাওয়ারই কথা কারণ, বিপিএলে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এই দিনটি হয়তো হৃদয়ের জন্য খুবই স্পেশাল। তাই একই দিনে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিরও দেখা পেয়েছেন।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। যেখানে চার বছর আগের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় সাংবাদিকরা। সেই স্মৃতির দিনটি নিয়ে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, চোখ বনিই করলেই মনে পড়ে।’
চলমান বিপিএলের উইকেটে রান না হওয়া নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তাওহীদ চার-ছক্কার বৃষ্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে হৃদয় জিতে নিলেন। ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৩ বলে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এই তরুণ ব্যাটার। সেঞ্চুরির পর তাসকিনকে ফ্লিক করে চোখ ধাঁধানো শটে আছড়ে ফেলেন গ্যালারিতে। ম্যাচ জেতানোর অসাধারণ ইনিংসে ছক্কা ছিল ৭টি।
ছক্কা মারা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হৃদয় বলেন, আমি মনে করি ছয় মারা কঠিন কিছু না। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ছয় মারতে পারে, যারা ব্যাটার আছে। যদি আত্মবিশ্বাসটা থাকে আমার মনে হয় ছয় যে কোনো সময়, যে কোনো মাঠে ছয় হবে।
তার মতে পাওয়ার নয়, ছক্কার জন্য শুধু আত্মবিশ্বাসটাই প্রয়োজন, আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা এরকম পরিস্থিতিতে কম অভ্যস্ত। আমরা যখন আস্তে আস্তে খেলতে থাকবো। আরও যখন ম্যাচে এরকম ছয় মারবো, প্রত্যেকটা ব্যাটার যখন মারবে, তখন আত্মবিশ্বাসটা আসবে যে আমি মারলে ছয় হবে।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি তাওহীদ উৎসর্গ করেছেন তার মাকে। যিনি এই মুহূর্তে অসুস্থ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাওহীদের কোনো সেঞ্চুরি নেই। প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’তে সেঞ্চুরি থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে কখনো তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করার কীর্তি ছিল না।
তবে তার কাছে টি-টোয়েন্টির এই সেঞ্চুরি থেকেও স্মৃতিময় যুব দলে খেলার সময় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়া হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি। যা কখনও ভুলতে চান না তিনি।