বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব। আর এই বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কেউ নিজেরাই আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করে নিচ্ছে আবার কেউ নতুন চাকরির জন্য নিজেকে তৈরী করে নিচ্ছে। কিন্তু এমন অনেক যুবক আছে যারা উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেও বেকার জীবন যাপন করছে। এতে করে তাদের মধ্যে মানসিক চাপ প্রভাব বিস্তার করছে।
তাই আপনারা যারা নতুন চাকরির জন্য নিজেকে তৈরি করে নিতে চাইছেন তাদের জন্য আমরা নতুন চাকরি খোঁজার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে এসেছি। যাতে করে আপনারা নিজেদেরকে এমন ভাবে তৈরি করে নিতে পারেন যেখানে আপনারা যে বিষয়ের উপর চাকরি করতে চান সে বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
এছাড়া আপনারা যাতে করে চাকরি পাওয়ার জন্য পূর্বে থেকে যে সকল বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয় সে সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে যাতে সম্পূর্ণ একটি ধারণা পেয়ে যান, তাই আজকের ঘুড়ি লার্নিং এর সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আপনাদের নতুন চাকরি খোঁজার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরব। তাই আমরা আশা করব আপনারা আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং জেনে নিবেন কিভাবে আপনি নিজেকে নতুন চাকরির জন্য তৈরি করে নিতে পারেন।
চলুন তাহলে আর দেরি না করে এখনই জেনে নিই কীভাবে নিজেকে নতুন চাকরির পাওয়ার জন্য প্রস্তুত করবেন এবং কোন কোন বিষয়গুলো আমাদের সবথেকে বেশি নজর রাখতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা অথবা বড় বড় ডিগ্রী থাকলেই যে চাকরি হয়ে যাবে এমন বিষয় নয়। বর্তমান সময়ে চাকরি অনেকটা সোনার হরিণের মত। তাই একটি ভালো চাকরি খুঁজে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে, সেইসাথে আপনাকে চাকরির পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য এমন ভাবে তৈরি করে নিতে হবে যাতে করে আপনি প্রফেশনাল জীবনে সফলতা খুঁজে পান।
আমরা সকলেই জানি যে একেক চাকরির ধরন একেক রকম হয়ে থাকে। একটি কোম্পানির ডিরেক্টরের যে কাজ থাকে সেই কোম্পানির ম্যানেজারের কিন্তু একই রকম কাজ থাকেনা তাই একেকজনের কাজ একেক রকম হওয়াতে একেক ধরনের যোগ্যতা প্রয়োজন হয়।
চাকুরীর বৈশিষ্ট্য, কর্মস্থল, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর নিজেকে খাপ খাইয়ে নতুন একটি চাকরি খোঁজার জন্য আপনাদের অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস অনুসরণ করতে হবে। কারণ যেকোন কাজ সম্পন্ন হয় একটি ধারাবাহিকতার উপর নির্ভর করে। ঠিক তেমনি আপনি যখন একটি নতুন চাকুরী খুঁজবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি ধারাবাহিকতার উপর নির্ভর করে যেতে হবে।
কোন কোম্পানিতে কর্মী লাগবে আর আমি সেই কোম্পানিতে সাথে সাথে কাজ করতে শুরু করে দিব বিষয়টা এমন নয়। কাজের ধরন অনুসারে আপনাকে সেখানে চিঠি পাঠিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে এবং আলোচনা সাপেক্ষে নতুন চাকরি পাওয়ার কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া বর্তমান যেহেতু ইন্টারনেটের ব্যবহার অনেক বেশি সেহেতু বর্তমান সময়ে যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। তাই ইংরেজি ভাষা এবং কম্পিউটারের ওপর নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। আমরা আপনাদের সামনে ধারাবাহিকভাবে নতুন চাকরি খোঁজার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস গুলো উপস্থাপন করব।
১. চাকরির জন্য নিজেকে তৈরি করা
নতুন চাকরি পাওয়ার জন্য সবার আগে নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। বর্তমান সময়ে পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন ছাড়াও আপনার মধ্যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং আপনি কতটা সাবলীল তার ওপর নির্ভর করে একটি চাকরির ক্ষেত্রে।
কারণ আপনি যখন একটি পরিবেশে চাকরি করবেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে অন্য টিম মেম্বারের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং সকলের সাথে মিলেমিশে থাকতে হবে, আপনি যে পরিবেশে বড় হন না কেন আপনাকে চাকুরীর ক্ষেত্রে শুদ্ধ ভাষায় কথোপকথন করতে হবে। এরকম নানা ধরনের বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে আপনাকে একটি চাকরির জন্য তৈরি করে নিতে হবে।
চাকরির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন হয় বা আপনি কোন কাজের ওপর দক্ষ আছেন সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হয় এমন বিষয় নয়। আপনার আচার আচার, আপনার কথা বলার ধরন, আপনার পোশাক-পরিচ্ছেদ, নিয়মানুবর্তিতা, সততা, শ্রেণী বৈষম্য ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপরও নজর রাখা হয়। তাই এ সকল বিষয়গুলোর উপর নজর রেখে নিজেদেরকে নতুন চাকরির জন্য তৈরি করে নেয়াই শ্রেয়।
২. চাকরির ক্ষেত্র নির্বাচনের জন্য একটি উপযুক্ত তালিকা তৈরি করা
নিজেকে চাকরির জন্য তৈরি করার পাশাপাশি অবশ্যই চাকরির পদ অনুসারে কি জানতে হবে তার একটি উপযুক্ত তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। কারণ আমরা যখন চাকরির জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করব এবং সিভি জমা দিব তার জন্য আমাদের অবশ্যই চাকরির সেক্টর ঠিক করে নিতে হবে। নতুবা আমরা একটি চাকরীর উপর ভরসা করে অন্য চাকরি হতে বঞ্চিত হতে পারি। উদাহরণস্বরূপ আপনি হয়তো একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করতে চাইছেন, সেভাবে আপনাকে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
আপনার যে কোন কোম্পানি হলেই চলবে না আপনার মার্কেটার প্রয়োজন এমন কিছু কোম্পানি আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। তাই আপনার যে সকল কোম্পানিতে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করতে চান সেই কোম্পানির গুলোর তালিকা তৈরি করে নিতে পারেন এবং সেই কোম্পানিগুলোতে মার্কেটিং বিভাগের পদের জন্য কোন কোন বিষয়গুলো তারা উল্লেখ করেছে সে বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে। এতে করে আপনাদের চাকরির ক্ষেত্র নির্বাচনে অনেক সুবিধা হবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে।
৩. উপযুক্ত ও আকর্ষণীয় সিভি এবং কভার লেটার তৈরি করা
আপনি যখন নতুন চাকুরী খুঁজবেন এবং নতুন চাকুরীর নেয়ার জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা সম্পর্কে জানানোর জন্য অবশ্যই কিছু প্রমান পত্রের প্রয়োজন হয়। আপনি ছোট-বড় যে কোন চাকরি করেন না কেন সেই চাকরির জন্য আপনাকে সবার আগে আবেদন করতে হবে এবং সেই সাথে আপনার পরিচিতি তুলে ধরার জন্য আপনাকে একটি সিভি তৈরি করে নিতে হবে।
আপনার সিভি এমন ভাবে তৈরি করে নিতে হবে যাতে করে সেখানে একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হয়। মূল কথা হচ্ছে আপনাকে একটি প্রফেশনাল সিভি তৈরি করে নিতে হবে এবং চাকরি পাওয়ার জন্য আপনাকে কভার লেটার তৈরি করে নিতে হবে। যদিও বা বেশিরভাগ কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে কভার লেটার প্রয়োজন হয় না তবুও আপনাকে এই কভার লেটার তৈরি করা শিখে নিতে হবে।
কারণ একেক কোম্পানি একেক রকম ভাবে কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকেন এবং তাদের চাহিদা অনুসারে আমাদেরকে চাকরির জন্য আবেদন করতে হয় এবং সিভি জমা দিতে হয়। এখন আপনারা ভাবতে পারেন যে সিভিতে আমরা কোন কোন বিষয়গুলো তুলে ধরব। তার জন্য আমরা আপনাকে সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দিচ্ছি যে তালিকার বিষয় গুলো অবশ্যই সিভির মধ্যে উল্লেখ করা উচিত প্রতিদিন চাকরির ক্ষেত্রে। সুতরাং আপনি একটি উপযুক্ত চাকরির জন্য আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন সেগুলো হচ্ছে-
এছাড়াও আপনি আপনার অন্যান্য যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংযুক্ত করতে পারেন। তবে অবশ্যই তৈরি করার সময় ইংরেজি ভাষায় সিভি তৈরি করতে হবে এবং সেই সিভি A4 সাইজ পেইজ এর ২-৩ পেইজের বেশি হবে না।
আপনার সিভি এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে করে আপনি যেখানে চাকরি নিবেন সেখানে অল্প সময়ের মধ্যে তারা যাতে আপনার সম্পর্কে জেনে নিতে পারে। নতুন চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সিভি যদি সঠিক থাকে তাহলে চাকরি পাওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যায়।
৩. নেটওয়ার্ক তৈরি করা
নতুন চাকরি পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার একটি সঠিক নেটওয়ার্ক থাকতে হবে। অর্থাৎ যদি কোন কোম্পানিতে কয়েকজন কর্মী প্রয়োজন হয় তখন তারা বিভিন্ন উপায়ে সেই কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। সেটি হতে পারে মৌখিক আবার বিভিন্ন বিজ্ঞাপন।
সেখানে উল্লেখ করা থাকে তাদের কোম্পানিতে কোন পদটি খালি আছে এবং কোন পদের জন্য কি রকম বেতন, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য বিষয়ে তাদের প্রয়োজন। এ ধরনের খবরা-খবর রাখার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই সঠিক নেটওয়ার্ক তৈরি করে নিতে হবে। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই নেটওয়ার্ক সিস্টেম অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন আপনারা ঘরে বসেই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করার মাধ্যমে বিভিন্ন চাকরির খবর পেতে পারেন।
আপনি যাতে বিভিন্ন কোম্পানির চাকরির বিজ্ঞপ্তি গুলো খুঁজে পান সেক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন ধরনের চাকুরীর গ্রুপ অথবা ওয়েবসাইটে নজর রাখতে পারেন। কারণ বড় বড় কোম্পানিগুলো নিজেরা মৌখিক উপায়ে কর্মী নিয়োগ দেন না তাই তারা বিভিন্ন ওয়েব সাইট অথবা গ্রুপগুলোতে একটি পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেন তাদের কর্মী প্রয়োজন। সুতরাং আপনারা যারা নতুন চাকরি খুঁজছেন তাদের অবশ্যই চাকরির বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী এবং সঠিক নেটওয়ার্ক তৈরি করে নেয়া উচিত।
৪. অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যম ব্যবহার করে ক্যারিয়ার ব্র্যান্ড তৈরি করা
আধুনিক এই যুগে নিজেদেরকে তৈরি করার জন্য অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই নিজেদের ক্যারিয়ার এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে করে নিজের একটি ব্র্যান্ড তৈরি করে নিতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের পোর্টফোলিও তৈরি করার মাধ্যমে নিজের দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে নিজেরাই নিজেদের একটি ব্যান্ড তৈরি করে নিতে পারেন।
৫. স্বপ্নের চাকরি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন চাকরি-সম্পর্কিত দক্ষতা অর্জন করতে হবে
পড়াশোনার পাশাপাশি প্রত্যেক মানুষের স্বপ্নের চাকরি বা স্বপ্নের ব্যবসার প্রতি একটি আলাদা অনুভব থাকে। আপনি যদি আপনার স্বপ্নের চাকরি টি পেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিদিন আপনাকে স্বপ্নে চাকরির জন্য অল্প অল্প করে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে এবং সেই চাকরি পাওয়ার লক্ষ্যে আপনাকে যে ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে হবে সে সকল দক্ষতা ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে তৈরি করে নিতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হন এবং আপনি নিজেদেরকে যদি একজন প্রোগ্রামার হিসেবে তৈরী করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে ঘুড়ি লার্নিং এর কোর্স সময়োপযুগি এবং আপনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক।
৬. সাংগঠনিক মনোভাব তৈরি করা
নতুন পরিবেশে নতুনভাবে কাজ করার জন্য আপনাকে এমন ভাবে প্রস্তুত হতে হবে যাতে করে আপনার মধ্যে একটি সাংগঠনিক মনোভাব তৈরি হয়ে যায়। তাই নিজেকে সংগঠিত করার জন্য সাংগঠনিক মনোভাব তৈরি করে নিতে হবে।
৭. দক্ষতা অর্জন করা
শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। যেমন আপনি বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। বর্তমানে যেহেতু সকল কাজ কম্পিউটারের সাহায্যে হচ্ছে সেহেতু আপনি কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যার ওপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। এভাবে আপনি আপনার শিক্ষাগত দক্ষতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
৮. এক্সট্রা কারিকুলার দক্ষতা
বর্তমান সময়ে কর্পোরেট সেক্টর গুলোতে এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন এর বাহিরেও এক্সট্রা কারিকুলার হিসেবে নিজেদেরকে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়। কারণ কর্পোরেট অফিস গুলো বর্তমান সময়ে extra-curricular অ্যাক্টিভিটিস এর উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই নিজেকে একজন ভালো সহকর্মী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য অবশ্যই এক্সট্রা কারিকুলার দক্ষতার উপর নজর রাখতে হবে।
৯. ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়া
আপনি যখন নতুন চাকরি পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন এবং জমা দিবেন তখন আপনাকে ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে। ইন্টারভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সঠিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ইন্টারভিউ দেয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং সঠিক প্রশ্ন নির্বাচন অনুশীলন করতে হবে।
আমরা যখন কোন সেক্টরে জব করে থাকি তখন অবশ্য একটি বিষয় লক্ষ্য রাখি যে কোন সেক্টরে যারা চাকরি করছে তাদের ফর্মাল ভাবে থাকতে হয়।
তাই অবশ্যই ইন্টারভিউ দেয়ার সময় যখন আপনারা নির্দিষ্ট কোম্পানিতে যাবেন তখন আপনারা ফরমাল পোশাক পরিধান করে যাবেন। ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় এমন ভাবে কথা বলতে হবে যাতে করে আপনি নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস রেখে কথা বলতে পারেন এবং আপনাকে যে ধরনের প্রশ্ন করা হবে সেই সকল প্রশ্নের সঠিক এবং সত্য উত্তর দিতে হবে।
মূলত চাকরি পাওয়ার জন্য প্রথম ধাপ হচ্ছে ইন্টারভিউ কারণ আপনাকে এই ইন্টারভিউ দেয়ার মাধ্যমে তারা তাদের নির্দিষ্ট পদে চাকরির জন্য নিযুক্ত করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইন্টারভিউতে কোনভাবে বিব্রত বা আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না।
১০. রেফারেন্স তৈরি করা
বর্তমান সময়ে নতুন চাকরি পাওয়াটা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। নতুন চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকাংশে মূল ভূমিকা হিসেবে পালন করে থাকে রেফারেন্স। তাই আপনি যদি কোন কোম্পানিতে কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই কোম্পানির আপনার উপর বিশ্বাস রাখতে পারে এমন একজনের রেফারেন্স নিয়ে যেতে পারেন।
সুতরাং একটি ভালো চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে রেফারেন্স অবশ্যই প্রয়োজন। রেফারেন্স হিসেবে আপনার যে কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করবেন সে কোম্পানির নাম ব্যবহার করতে পারেন অথবা সেই কোম্পানির উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করতে পারেন। তবে অবশ্যই যে ব্যক্তি রেফারেন্স দিবেন সে ব্যক্তির অনুমতি সাপেক্ষে রেফারেন্স দিতে হবে।
১১. প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা
যখন নতুন চাকরি পাওয়ার জন্য সিভি তৈরি করবেন তখন অবশ্যই যে ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা সংযুক্ত করবেন সে সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল ডকুমেন্ট আপনাদের সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
যখন আপনি বিভিন্ন কোম্পানিতে সিভি জমা দিবেন অবশ্যই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো জমা দিতে হবে। তাই আপনার সকল সার্টিফিকেটের মূল কপি নিজেদের কাছে সংগ্রহ করে রেখে দিবেন এবং ফটোকপি সাথে সংযুক্ত করে বিভিন্ন কম্পানিতে জমা দিতে পারেন।