মালয়ালাম সিনেমা মানেই একরাশ মুগ্ধতা আর বক্স অফিসে সফলতার গল্প। প্রতি বছর একের পর এক দুর্দান্ত সব গল্প পর্দায় এনে দর্শক হৃদয় জয় করার পাশাপাশি বক্স অফিসেও রাজত্ব দেখাচ্ছে মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রি। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘প্রেমালু’ যার আরেকটি উদাহরণ। মাত্র ৯ কোটি রুপিতে নির্মিত চলচ্চিত্রটি ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে বক্স অফিসে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে মালায়লাম সিনেমা ‘প্রেমালু’। গিরিশ এ. ডি. নির্মিত সিনেমাটি এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী আয় করে নিয়েছে ১০০ কোটি রুপি।ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস নাউ-এর প্রতিবেদন অনুসারে, কেবল নিজ অঞ্চল অর্থাৎ কেরালা থেকেই ‘প্রেমালু’ আয় করেছে ৫০ কোটি রুপির বেশি। এর আগে কেবল আটটি চলচ্চিত্র কেরালায় ৫০ কোটির মাইলফলক ছুঁতে পেরেছিল।
সেগুলো হলো ‘পুলিমুরুগান’, ‘বাহুবলী ২’, ‘লুসিফার’, ‘কেজিএফ ২’, ‘২০১৮’, ‘জেলার’, ‘আরডিএক্স’ ও ‘লিও’। তবে এগুলো প্রত্যেকটি বেশ মোটা অংকের বাজেটে নির্মিত চলচ্চিত্র। সে হিসেবে ‘প্রেমালু’র সাফল্য রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতোই।মুক্তির পর মালয়ালাম ভাষায় প্রেমালু যখন দারুণ সাড়া পায়, তখন এর তেলুগু ভার্সনও মুক্তি দেওয়া হয়।
তেলুগুতে এটি পরিবেশনা করছে ‘বাহুবলী’ খ্যাত নির্মাতা এস এস রাজামৌলির পুত্র কার্তিকেয়া। এ প্রসঙ্গে রাজামৌলি বলেছেন, “আমি খুব আনন্দিত যে, কার্তিকেয়া ‘প্রেমালু’ তেলুগুতে মুক্তি দিয়েছে। পুরো সিনেমাটি যেন হাসির যুদ্ধ! তরুণ প্রজন্মের মিম (কৌতুক), ভাষা দারুণভাবে তুলে এনেছেন নির্মাতা। সিনেমার রিনু, সচিন চরিত্রগুলো পছন্দ হয়েছে। তবে আমার সবচেয়ে প্রিয় আদি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, মালয়ালাম ও তেলুগু ভাষায় সফলতার পর এবার তামিল ভাষায়ও মুক্তি পাবে প্রেমালু। ফলে সিনেমাটির বক্স অফিস আয় যে আরো বহুগুনে বাড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।‘প্রেমালু’ পরিচালনা করেছেন গিরিশ এ. ডি। কিরন জোসির সঙ্গে সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। এতে অভিনয় করেছেন নাসলেন কে. গফুর, মাথু থমাস, মামিতা বাইজু, শ্যাম মোহন, সংগীত প্রতাপ প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন মালায়লাম সিনেমার তারকা ফাহাদ ফাসিল, দিলেশ পোথাম ও স্যাম পুশকার।