ফোন কেনার সময় ডিসপ্লের আকার পরখ করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি র্যাম ও স্টোরেজ দেখা উচিত। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য ফোনের স্টোরেজ এবং র্যাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কতটা স্টোরেজ থাকলে আপনার ফোন দীর্ঘদিন ভালো থাকবে? অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর জানেন না।
নতুন ফোন কেনার আগে অনেকেরই একটাই প্রশ্ন থাকে, কেনার আগে কোন কোন জিনিস মাথায় রাখা উচিত। কোন ফোন ভালো হবে, তাও বুঝতে পারেন না অনেকে। তার মধ্যে সবথেকে চেনা প্রশ্ন হল কী দামের মধ্যে ফোন কিনব, কিন্তু কত মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকতে হবে, কত ব্যাটারি পাওয়ার ও স্টোরেজ থাকতে হবে, এই সব কিছুই।
ramভালো পারফরম্যান্সের জন্য ফোনের স্টোরেজ এবং র্যাম অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। কিন্তু কতটা স্টোরেজ থাকলে আপনার ফোন দীর্ঘদিন ভালো থাকবে? এ প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই জানা নেই।
ফোনে কম র্যাম থাকলে কী সমস্যা?
আপনার স্মার্টফোনে যত বেশি র্যাম থাকবে, তত দ্রুত আপনি ফোনের সব অ্যাপ চালাতে পারবেন। যদি র্যাম কম হয়, তাহলে সহজেই ফোনটি হ্যাং করতে শুরু করবে। এমনকি কয়েকদিন পর থেকেই স্লো হয়ে যাবে। যে কোনও অ্যাপ চালানোর সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
র্যাম বা র্যান্ডম এক্সেস মেমোরি হল ফোনের সেই অংশ, যা অপারেটিং সিস্টেমকে ঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ফোনের অ্যাপ এবং ডেটা এখানে থাকে। অন্যদিকে, ফোন স্টোরেজ অ্যাপ, ফটো, ভিডিও এবং ফাইলের মতো ডেটা সেভ করতে ব্যবহৃত হয়। তবে সেক্ষেত্রে অনেকেই আলাদা করে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করেন। স্টোরেজ খুব কম হলে, ফোন কয়েকদিনের মধ্যে ভর্তি হয়ে যায়, যার কারণে ফোনটি ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে।
ramআদর্শ ফোনে কত জিবি র্যাম থাকা উচিত?
নিয়মিত ব্যবহারের জন্য ৬ জিবি র্যামই যথেষ্ট। অন্যদিকে, আপনি যদি গেম খেলেন, তবে ৮ জিবি র্যামের একটি ফোন কিনতে পারেন। আর উচ্চ-মানের গেমিং অভিজ্ঞতার জন্য কমপক্ষে ১৬ জিবি র্যাম থাকা ভালো। সেক্ষেত্রে ফোনের দামটাও কিছুটা বেড়ে যায়। ৬৪ জিবি ফোন মেমোরি সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য যথেষ্ট, যদিও অনেকে ১২৮ জিবি এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজসহ ফোন কিনতে পছন্দ করে।