সর্বশেষ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ কনফিগারেশনের স্মার্টফোনটি বাজেটের মধ্যে পেতে হলে ফোন যাচাই বাছাই আবশ্যক। বাজারে হাজারো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন থেকে পছন্দের হ্যান্ডসেটটি বেছে নিতে বাজার দরের পাশাপাশি তার কারিগরি জ্ঞানও প্রয়োজন।
এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গ্রাহকরা স্মার্টফোন কেনার সময় ক্যামেরা, ব্যাটারি বা ডিজাইন কোনোটাই দেখেন না। তারা সবার আগে দেখেন, প্রসেসর কেমন, কতটা শক্তিশালী। প্রসেসর ভালো হলেই ভারতীয় গ্রাহকদের মন খুশ। এরপর তারা এক এক করে দেখেন ব্যাটারি লাইফ, স্টোরেজ ক্যাপাসিটি এবং ক্যামেরা কোয়ালিটি। ২০২৪ অর্থবছরে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্মার্টফোনের ইউনিট ভলিউমের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হলো ভারত।
গবেষণায় বলা হয়, স্মার্টফোনের প্রতি ভারতীয় গ্রাহকদের নির্ভরতা বেড়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন এবং সতর্ক। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য গ্রাহকরা উন্নত প্রসেসরের পিছনে বেশি খরচ করতেও পিছ পা হন না। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২৮ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন প্রসেসরের পারফরম্যান্স ডিভাইসের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের উপর প্রভাব ফেলে।
ক্রেতারা দেখেন, প্রসেসরের স্পিড কেমন আছে। এর জন্য বেশি খরচ করতেও প্রস্তুত ১৬ শতাংশ গ্রাহক। এরপরই রয়েছে ব্যাটারি লাইফ। ১৩ শতাংশ গ্রাহক এটাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। ৫জি কানেক্টিভিটি চান ১২ শতাংশ গ্রাহক। সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট শিবানী পরাশর বলেছেন, স্মার্টফোন কেনার সময় এখন প্রসেসরের পারফরম্যান্সই প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। ৮৪ শতাংশ গ্রাহকই স্মার্টফোনে চিপসেটের ভূমিকা দেখে নেন।
দেশে স্মার্টফোনের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে, যার ফলে বাজারও বাড়ছে। ২০২৫ সালেও এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। গ্রাহকের মনোভাব পরিবর্তন হচ্ছে। সরকারি পর্যায়েও একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্মার্টফোনের বাজার প্রতি বছর ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে।