স্মার্টফোনের যুগে প্রবেশের পর একে একে বাজারে এসেছে স্মার্ট ঘড়ি, চশমা ও আংটি। এবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাজারে আসতে চলেছে স্মার্ট কানের দুলও। এর মাধ্যমে মানসিক চাপ, তাপমাত্রা, জ্বর, ব্যায়াম, খাদ্যাভাস ও নারী স্বাস্থ্যের নানা বিষয়ে ডেটা সংগ্রহ করা যাবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক এই দুল তৈরি করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টি গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্মার্ট দুল নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, থার্মাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কানের লতির মাধ্যমে সব সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করবে এই দুল। দুলটিতে থাকা স্কিন টেম্পারেচার সেন্সর ত্বকের তাপমাত্রা ও ড্যাংলিং সেন্সর আশপাশের তাপমাত্রা মাত্রা পরিমাপে সাহায্য করে।
গবেষণাপত্রের লেখক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডক্টরাল ছাত্র কিউইউয়ে জুই বলেন, কবজিতে পরা ঘড়ির চেয়ে কানের লতির মাধ্যমে ত্বকের তাপমাত্রা নির্ধারণের এই প্রযুক্তি ‘অনেক বেশি নির্ভুল’ তথ্য দেবে। ছয়জন মানুষের উপর এই দুলের এর পরিধানযোগ্যতা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, সঠিকভাবে ত্বকের তাপমাত্রা নির্ণয়ে কানের দুল স্মার্টওয়াচকে ছাড়িয়ে যায়।
জানা গেছে, একবার চার্জ দিয়ে স্মার্ট কানের দুল ২৮ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। এতে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য কম শক্তি খরচ করে এমন ব্লুটুথ ব্যবহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে দুলটি সৌরশক্তি ও কাইনেটিক বা গতি শক্তি দিয়ে চার্জ দেয়া যাবে। তখন চার্জ দিতে কান থেকে দুল খুলতে হবে না।
যদিও এই দুল এখনো রয়েছে পরীক্ষা–নিরীক্ষামূলক পর্যায়ে। তাই দুল নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। এত ছোট ডিভাইস কীভাবে চার্জ দেয়া হবে, ডান ও বাম কানের জন্য একই ধরনের দুল থাকবে কিনা, বাস্তবে দুটি দুলই কি ডেটা সংগ্রহ করবে নাকি একটি নকল হিসেবে ব্যবহার করা হবে- এসব প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশ কিছু সময়।