তীব্র শীতে থমকে গেছে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন। ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে তেঁতুলিয়ায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ছিল শীত মৌসুমে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে পঞ্চগড়, কুড়িগ্রামসহ দেশের ১২ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঢাকায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও দেশের অধিকাংশ জায়গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
পঞ্চগড়ের বাসিন্দা আকবর বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে মনে হয় এটাই ছিল সবচেয়ে বেশি শীত। এত ঠান্ডা যে বাসা থেকে বের হলেই হাত পা বরফ হয়ে আসে।
এই এলাকার বেলাল হোসেন বলেন, ঠান্ডার কারনে বাইরে বের হতে পারছি না। কাজকর্ম করতে পারছি না। বিপদে আছি। জমানো টাকা খরচ করে সংসার চালাচ্ছি। খুব সমস্যার মধ্যে আছি।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের কয়েকটি জেলা ও বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও অন্তত দুই দিন থাকবে এবং শৈত্যপ্রবাহের আওতা বাড়তে পারে।
এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পার বলেও জানান তিনি।
নাজমুল আরও বলেন, আগামী চার দিন দেশের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে। গত কিছু দিন যেমন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ঘন কুয়াশা পড়ছিল, এখন সেই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে গুঁড়িগুঁড়ি বা হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
এ ছাড়া তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়।