বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন মার্কিন গায়ক নিক জোনাসকে। বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। সেখানে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে বাড়ি কেনেন তারা। সেই স্বপ্নের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন এই তারকা দম্পতি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পেজ সিক্স এ খবর প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিলাসবহুল বাড়ি কিনেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। বাড়ির নাম ‘ক্যালিফোর্নিয়া ম্যানসন’। বাড়িটিতে রয়েছেন ৭টি বেড রুম, ৯টি বাথরুম, সেফস কিচেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওয়াইন রুম, ইনডোর বাস্কেটবল কোর্ট, বোলিং অ্যালি, হোম থিয়েটার, এন্টারটেইনমেন্ট লাউঞ্জ, স্পা, জিম, বিলিয়ার্ড রুম। এই বাড়ির জন্য এ দম্পতিকে গুনতে হয় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু পানি পড়ে স্বপ্নের বাড়িটি বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে, যা নিয়ে এখনও আইনি লড়াই চলছে।
বিষয়টি নিয়ে ২০২৩ সালে মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলার নথিপত্র পেয়েছে পেজ সিক্স। তা থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে এ বাড়ির পুল এবং স্পাতে প্রথম সমস্যা দেখতে পান প্রিয়াঙ্কা-নিক। কাছাকাছি সময়ে তারা বারবিকিউ অংশের ডেকে ছিদ্র দেখতে পান। এই ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ওই অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সময়ের সঙ্গে বাড়িটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে কথা বলতে পেজ সিক্সের এ প্রতিবেদক আইনজীবী ফ্রেড ফেনস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘বিল্ডারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ট্রাস্টি। পরে বিল্ডার সাব-কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। আর যেসব লোকজন কাজটি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সাব-কন্ডাক্টর। এ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যেকে জড়িত। তবে কার দোষে এ ঘটনা ঘটেছে তা চূড়ান্ত করতে পারবে বিল্ডার। আর এসব কারণে বিষয়টি সমাধান হতে সময় লাগছে।’
বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটির সংস্কারের কাজ চলছে। একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, এ বাড়িতে এখন কেউ বসবাস করেন না। এটি কাউকে ভাড়াও দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর রাজকীয় আয়োজনে নিক জোনাসকে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা। ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি প্রিয়াঙ্কা জানান, সারোগেসির মাধ্যমে কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন তিনি।