বাংলাদেশের বাজারে আসতে যাচ্ছে ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল। হায়ার সিসির বাইকগুলোর মধ্যে কোনটি কিনবেন সে বিষয়ে ইতিমধ্যে বাইকপ্রেমীদের অনেকেই হিসাব-নিকাশ শুরু করে দিয়েছেন। সেই হিসাব-নিকাশের মধ্যে মাইলেজের বিষয়ওটি রয়েছে। কারণ বেশি সিসির বাইক মানেই যে কম মাইলেজ। বাইকপ্রেমীদের হিসাব-নিকাশ কিছুটা সহজ করতে আজ আমরা হাজির করছি বেশি মাইলেজের ৩৫০ সিসি পর্যন্ত কয়েকটি বাইক।
হোন্ডা হাইনেস সিবি ৩৫০:
বাইকটিতে রয়েছে ৩৪৮ সিসির এয়ার কুলড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন, যা সর্বোচ্চ ২১ বিএইচপি এবং ৩০ এনএম টর্ক দিতে সক্ষম। বাইকটিতে রয়েছে সেমি-ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, অ্যাসিস্ট ও স্লিপার ক্লাচ এবং ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম। বাইকের দু চাকাতেই থাকছে ডিস্ক ব্রেক এবং ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। বাইকটি মাইলেজ দেবে প্রতি লিটারে ৪২ দশমিক ১৭ কিলোমিটার।
রয়েল এনফিল্ডের ক্ল্যাসিক ৩৫০:
তুখোড় লুকের সঙ্গে চমৎকার পারফরম্যান্সের এই বাইকটিতে রয়েছে ৩৪৯ সিসিরি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এটি ২০ দশমিক ২১ বিএইচপি শক্তি এবং ২৭ এনএম টর্ক তৈরি করে। সঙ্গে মিলবে ৫ স্পিড গিয়ারবক্স। রয়্যাল এনফিল্ডের দাবি অনুযায়ী, এই মোটরসাইকেল মাইলেজ দেয় প্রতি লিটারে ৪১ কিলোমিটার।
বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ২২০:
বাংলাদেশের ক্রুজার প্রেমীদের কাছে অ্যাভেঞ্জারকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ২২০ সিসির এই বাইকটিতে রয়েছে অয়েল কুলড ডিটিএসআই এফআই ইঞ্জিন। সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিনটি ১৯ বিএইচপি শক্তি এবং ১৭ দশমিক ৫৫ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করে। এর মাইলেজ প্রতি লিটারে ৪০ কিলোমিটার।
রয়েল এনফিল্ডের বুলেট ৩৫০:
রয়েল এনফিল্ড ৩৫০ সিসি ইঞ্জিনের যতগুলি বাইক বিক্রি করে তার মধ্যে সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় মডেল হচ্ছে এটি। ৩৪৯ সিসির বাইকটি ২০ দশমিক ২ হর্সপাওয়ার তৈরি করতে পারে। ব্রেকিংয়ের জন্য এর সামনের চাকায় পাবেন ডিস্ক ব্রেক এবং পিছন চাকায় ড্রাম ব্রেক। সঙ্গে থাকবে সিঙ্গেল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। বাইকটি থেকে আপনি মাইলেজ পাবেন ৩৮ কিলোমিটার।
কেটিএমের ডিউক ২৫০:
অ্যাগ্রেসিভ লুকসের বাইকটিতে রয়েছে ২৪৯ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। এটি সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক ৫৭ হর্সপাওয়ার এবং ২৫ নিউটন মিটার টর্ক তৈরি করে। বাইকের দু চাকাতেই রয়েছে ডিস্ক ব্রেক এবং ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। বাইকটিতে রয়েছে রয়েছে ৫ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে, স্মার্টফোন সংযোগ, টার্ন-বাই-টার্ন ন্যাভিগেশন, কুইকশিফটার প্লাস, রাইড-বাই-ওয়্যার, স্লিপার ক্লাচ এবং টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট। বাইকটি মাইলেজ দেবে ৩৫ থেকে ৩৮ কিলোমিটার।