টালিউড অভিনেত্রী মানামী ঘোষে বেশ স্বাস্থ্য সচেতন। নিজেকে ফিট রাখতে কড়া ডায়েট পালন করেন তিনি। তার শরীরে কোনোভাবেই যেন মেদ না জমে তার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন অভিনেত্রী। এ জন্যেই হয়তো ৪০ এর কোটায় এসেও রূপের ছটা দেখিয়ে মুগ্ধ করতে পারেন মনামী।
অনেকে মনে করেন, শরীরে মেদ জমার ভয় করেন শোবিজের প্রত্যেক তারকারাই। সে জন্যেই হয়তো ক্যামেরার সামনে ফিট থাকতে এত স্বাদ আহ্লাদ ত্যাগ করে ডায়েট পালন করেন মনামী। কিন্তু এই অভিনেত্রীর ফিট থাকার আরও ভিন্ন কারণ রয়েছে। শরীরে মেদ মানেই অভিনয় থেকে বাদ, এমনটা কখনোই মনে করেন না তিনি।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেকে ফিট রাখার কারণ ও দিন দিন আরও সুন্দর হয়ে ওঠার রহস্য জানান অভিনেত্রী। শরীরে মেদ জমায় সিনেমা থেকে বা পড়ার ভয় করেন কী না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মনামী জানান, এখন আর এসব নিয়ে কেউ ভয় করেন না। ফিট থাকাটা নাকী এখন যার-যার ব্যক্তিগত বিষয়।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘পরিচালকদের যখন যেমন চরিত্র লাগে, তারা তেমন অভিনেতা-অভিনেত্রী খুঁজে নেন। শরীরের বাড়তি মেদ এখন অভিনয় জগতে পিছিয়ে যাওয়ার কারণ কখনওই নয়। এটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আমি এমন থাকতে পছন্দ করি, তা-ই থাকি।’
তবে ক্যামেরার সামনে থাকতে হলে ফিট দেখানোকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না মনামী। অভিনেত্রী বলেন, ‘যে চরিত্রের জন্য যেমন স্টার পছন্দ, তাকেই ডেকে নেওয়া হয়। অভিনয়টাই মূল কথা। সেটা জানলেই হবে। পর্দায় যাকে তুমি দেখছ, তিনি চরিত্র। আর ব্যক্তিগত জীবনে যে যেমন থাকতে চায়, তিনি তেমনভাবেই থাকেন। ভেতর থেকে সুস্থ থাকাটাই প্রয়োজন।’
নিজের উদাহরণ টেনে অভিনেত্রী বলেন, ‘বেলাশুরু ছবিতে আমি বেশ মোটা ছিলাম। কারণ আমার চরিত্রটা বাড়িতে বসে থাকে, কোনও কাজ করে না। নিজের খেয়াল রাখে না, অশান্তি করে, এমন কারও। ফলে তার মোটা হওয়াটাই স্বাভাবিক, সেটাই দেখানো হয়েছে।’
ইতিহাস গড়তে ফাইনালে কোন দল যাবে আফগানিস্তান নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা!
উল্লেখ্য, ৩৯ বছর পেরিয়েও এখনও আবেদনময়ী ছবি, ভিডিও শেয়ার করে নিয়মিত ভক্তদের মাতিয়ে রাখেন মনামী ঘোষ। আগের মতোই ধরে রেখেছেন তার রূপ লাবণ্য। তাই তার এই বয়সের রূপ-সৌন্দর্য নিয়ে অনুরাগীদের চর্চাও কম না।