চেন্নাই টেস্ট শুরু আর শেষের পর কমন একটা প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন রবিশচন্দন অশ্বিন। টেস্ট শুরুর আগে অবসর কবে, এই প্রশ্নে খানিকটা ঘুরিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন। টেস্ট শেষে শুনতে হলো- ৩৮ বছরেও খেলে যাওয়ার উৎসাহ কী?
ভারতের কিংবদন্তি স্পিনার দিলেনও জানা উত্তর, ‘খেলাটা উপভোগ করা।’ তিনি এও জানিয়েছেন, যতদিন খেলবেন, উপভোগ করে যেতে চান। অবশ্য উপভোগ করে খেলতে চাইলেও ৩৭-৩৮ এমন এক বয়স, পারা যায় না। অশ্বিন জানিয়েছেন, সেজন্য থাকতে হয় দ্বিগুন চেষ্টা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে জয়ের পর ভারতের ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার বলেন, ‘প্রথমত বয়স একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ২৫, ২৬, ৩০ এমনকি ৩৫ এর সঙ্গে ৩৮ বছর বয়সের অনেক পার্থক্য। যে পরিশ্রমটুকুই করবেন, দলে জায়গা পেতে তা দ্বিগুন করে করতে হয়। আমার জন্য চালিয়ে যাওয়াও বড় চ্যালেঞ্জ। আমি তিন বছর তিন দিনের ম্যাচও খেলি না। কিন্তু আমার খেলার প্রবল ইচ্ছে রয়েছে। ক্রিকেট নিয়ে কোন উচ্চাকাঙ্খা নেই, ভালোবাসা আছে।’
ইচ্ছে শক্তি থাকলেও পাঁচ দিনের ম্যাচ খেলার জন্য ফিটনেস থাকা বড় চ্যালেঞ্জ। সেটা কীভাবে ধরে রাখেন এই প্রশ্নে ভারতীয় স্পিনার জানিয়েছেন, আগের মতো কঠোর পরিশ্রম করেন না। ইয়োগাই ভরসা, ‘আমি স্ট্রেন্থ ট্রেনিং কমিয়ে দিয়েছি। নিজেকে সচল রাখতে ইয়োগা করি। এতেই ভালো আছি।’
প্রায় দুই বছর পর টেস্টে ফিরে সেঞ্চুরি করা ঋষভ পান্তকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলেছেন অশ্বিন, ‘ঋষভের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ছিল না। মাঠে সে যেভাবে ফিরেছে, তা অবিশ্বাস্য। সম্ভবত, সে ঈশ্বরের পাঠানো কেউ। তার খেলা দেখা আনন্দদায়ক। তার আত্মবিশ্বাসে কখনও ঘাটতি ছিল না। তার প্রতি সবসময় দলের সমর্থন ছিল। আমারও তার ফেরা নিয়ে কোন সন্দেহ ছিল না।’