৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এতে আপাতত নিয়োগ পেয়েছেন দুই হাজার ৬৪ জন। নানা কারণে স্থগিত থাকছে ৯৯ জনের ফল। এই বিসিএসে পিএসসি থেকে দুই হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে সুপারিশ করেছিল।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে জনপ্রাশন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ৯৯ জনের ফল স্থগিত বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। পিএসসির এক কর্মকর্তা বলেন, পিএসসি থেকে যাদের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল তাদের কেউ কেউ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আসেননি, আবার কয়েকজনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে শুনেছি, এমন প্রায় শ খানেক প্রার্থীর ফল স্থগিত থাকছে। ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছিল পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।
সে সময় ২ হাজার ৮০৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। পরে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে ২৫৫ জনের বিষয়ে পুনরায় যাচাই-বাছাই শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। যাচাই-বাছাই চলাকালে এক প্রতিবেদনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আরো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ২৫৫ জন প্রার্থীর গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর আটটি বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় চার লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থী অংশ নেয়। এই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি। এতে মোট ১৫ হাজার ২২০ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। একই বছরের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় মোট ৯ হাজার ৮৪১ জন কৃতকার্য হন।