এই অঙ্কটাই যেন প্রমাণ করে দিচ্ছে দেশে কী দ্রুততার সঙ্গে মানুষ 5G-র গতি ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছেন। এই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, 5G স্মার্টফোন ভারতে আসার সময় থেকে এখন তার শিপমেন্ট প্রায় 28 গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
5G স্মার্টফোনের জয়জয়কার!
ভারতের সমস্ত প্রান্তে এখনও 5G লঞ্চ হয়নি। তবে 5G স্মার্টফোন নিয়ে দেশবাসীর উন্মাদনা কম নয়। মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম সাইবারমিডিয়া রিসার্চ (CMR) এর পরিসংখ্যান বলছে, দেশে 5G স্মার্টফোনের শিপমেন্ট 10 কোটি বা 100 মিলিয়ন ছাপিয়ে গেল। এই অঙ্কটাই যেন প্রমাণ করে দিচ্ছে দেশে কী দ্রুততার সঙ্গে মানুষ 5G-র গতি ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছেন। এই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, 5G স্মার্টফোন ভারতে আসার সময় থেকে এখন তার শিপমেন্ট প্রায় 28 গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মার্কেট শেয়ারের দিক থেকে দেশের স্মার্টফোনের বাজারে বিক্রিবাট্টার নিরিখে সবথেকে বেশি অবদান রয়েছে 5G মোবাইলেরই, যা প্রায় 48 শতাংশ। দেশের 5G ফোনের বাজারে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে সবথেকে বেশি মোবাইল বিক্রি করেছে Samsung। তার ঠিক পরবর্তী স্থান দুটিতে রয়েছে OnePlus এবং Vivo। তিনটি ব্র্যান্ড সামগ্রিক ভাবে 5G মার্কেট শেয়ারের 60% জায়গা-জুড়ে রয়েছে। দেশের সব মেট্রো শহরে 5G নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার ফলে এই মার্কেটটাই আর কয়েক মাসের মধ্যে 70% বৃদ্ধি চাক্ষুষ করবে বলে দাবি করেছেন ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞরা।
2020 সালে লঞ্চ হওয়ার পর থেকে ভারতে 5G স্মার্টফোনের বাজারের বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য। সেই সময়ে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে শিপমেন্ট 13 গুণেরও বেশি বেড়েছিল, যা মানুষের এই প্রযুক্তিকে আপন করে নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। শুধুমাত্র 2022 সালেই ভারতের বাজারে প্রায় 100 5G স্মার্টফোন চালু করা হয়েছিল, যা 5G ডিভাইসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে স্মার্টফোন নির্মাতাদের প্রচেষ্টারও যথেষ্ট পরিমাণে ইঙ্গিত দিয়েছে।
ভারতে 5G-র ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের জন্য বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যের 5G স্মার্টফোন চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে CMR দ্বারা পরিচালিত আর একটি গবেষণায় 10,000 টাকার নিচের স্মার্টফোন বিভাগে সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্পগুলির গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। পরিকাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেলের মতো বড় টেলিকম অপারেটরগুলি ইতিমধ্যেই অক্টোবর 2022 থেকে তাদের 5G নেটওয়ার্কগুলির রোল-আউট শুরু করেছে এবং তারা সারা দেশে উল্লেখযোগ্য কভারেজ অর্জন করেছে।
সামগ্রিকভাবে, 5G স্মার্টফোন শিপমেন্টের বৃদ্ধি এবং ভারতে 5G নেটওয়ার্কের দ্রুত সম্প্রসারণ দেশে 5G প্রযুক্তির জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। সাশ্রয়ী মূল্যের 5G স্মার্টফোনের প্রাপ্যতা এবং নেটওয়ার্ক পরিকাঠামোর ক্রমাগত উন্নতি আগামী বছরগুলিতে দেশের গ্রাহকদের মধ্যে 5G প্রযুক্তি গ্রহণকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন সব নতুন চিপসেটেই থাকছে 5G সাপোর্ট। সাই লেটেস্ট প্রযুক্তি সহ স্মার্টফোন কিনতে চাইলে ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে কিনতে হবে 5G ফোন। এছাড়াও প্রিমিয়াম সেগমেন্টে এখন সব ফোনেই 5G সাপোর্ট থাকে। তাই 20,000 টাকার বেশি খরচে ফোন কেনার কথা ভাবলে আপনাকে কিনতে হবে 5G ফোন।
এখন আপনার এলাকায় 5G নেটওয়ার্ক না থাকলেও আগামী কয়েক মাস ও বছরের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক পৌঁছে যেতে পারে। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে অতিরিক্ত খরচ করে 5G ফোন কিনতে পারেন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/india-iphone/
আপনি যদি কলকাতা, দিল্লি অথবা অন্য কোন বড় শহরের বাসিন্দা হন ও হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান তবে নতুন ফোন কেনার সময় 5G সাপোর্ট দেখে নিন। কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরে শুরু হয়ে গিয়েছে 5G সার্ভিস। তবে এখনও এই সম শহরে সীমিত নেটওয়ার্ক কভারেজ পাওয়া যাচ্ছে।