দিনদিন ভারতের দক্ষিণী সিনেমাগুলো বলিউডকেও হারিয়ে দিচ্ছে। ছবিগুলোতে নায়কদের মারদাঙ্গা অ্যাকশনের পাশাপাশি নায়িকাদের হট ও আবেদনময়ী দৃশ্যগুলো বেশি আকর্ষিত করে।
শরীরের অলি-গলিতে লুকিয়ে আছে হাজারো সম্মোহন আর হাতছানি। অথচ নাভিতে এসেই যেন ভরাডুবি হয় পুরুষ নাবিকের।আর নারীশরীরের সেই বিশেষ অঙ্গকেই বারবার বড়পর্দায় তুলে ধরতে চান দক্ষিণী পরিচালকরা।
এই প্রতিবেদনে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হল। নারী শরীরের খোলা নাভির আবেদনে কাত হননি এমন পুরুষ বিরল। শাড়িতে যে নারীকে এত মোহময়ী লাগে তার অন্যতম কারণ কিন্তু এই নাভির প্রদর্শন।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দক্ষিণী সিনেপ্রেমীদের নারীশরীরের মধ্যে নাভির দিকেই বেশি আকর্ষণ। আর সেই বিষয়টিকেই কাজে লাগান পরিচালকরা।
তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখেই প্রাধান্য দেওয়া হয় নাভিকে। অভিনেত্রী সিল্ক স্মিথার শরীরি ভাষায় মত্ত হয়ে উঠতেন দর্শকরা। সেই প্রচলন আজও দক্ষিণী ছবিতে বিরাজমান।
অনেক পরিচালক জানিয়েছেন, নারীর নাভির প্রতি দর্শকদের এতটাই আকর্ষণ যে অনেক দক্ষিণী ছবির পোস্টারও তৈরি হয় এই বিষয়টি মাথায় রেখে। আসলে দিনের শেষে ছবি থেকে কত আয় হল, সেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তাই আয়ের অন্যতম হাতিয়ার নারী শরীরের নাভি। আরও একটি কারণে পরিচালকরা নাভিকে কাজে লাগান। কীরকম? ছবিতে খোলামেলা কোনও দৃশ্য থাকলে অনেক সময় তাকে ‘A’ নথিভুক্ত করা হয়।
ফলে সব বয়সের দর্শক সেই ছবি দেখা থেকে বঞ্চিত হয়। এই সমস্যারও সহজ সমাধান করে নাভি।নারীশরীরের উত্তেজক স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম নাভি ও নাভির চারপাশের অঞ্চল।
এভাবেই একাধারে যেমন ছবিতে চাহিদার দিকটি মেটানো হয়, তেমনই এড়িয়ে যাওয়া যায় কোনও খোলামেলা দৃশ্য। ফলে U/A তকমা পেতে সমস্যা হয় না।