Close Menu
  • Technology
  • Entertainment
  • Lifestyle
  • Travel
  • Sports
  • Exclusive
  • Funny
  • Recipe
Facebook X (Twitter) Instagram
Believe No Border Bangla
  • Technology
  • Entertainment
  • Lifestyle
  • Travel
  • Sports
  • Exclusive
  • Funny
  • Recipe
Believe No Border Bangla
Home » ভালো মৃত্যুর উপায়
Lifestyle

ভালো মৃত্যুর উপায়

January 11, 20254 Mins Read

মৃত্যু বড় যন্ত্রণাদায়ক সত্য। সবাইকেই একদিন এর স্বাদ নিতে হবে। এ দুনিয়ায় কেউ চিরদিন থাকবে না। যখন মালাকুল মওত এসে আমাদের নফস কবজ করবেন, তখন আমরা দুনিয়ার মানুষের চোখে মরা লাশ হয়ে যাব। দুনিয়ার এক টুকরো জিন্দেগিতে আমরা যা করেছি, কবরের জীবনে তার ফল পাওয়া শুরু হবে। ভালো করলে ভালো ফল। খারাপ করলে খারাপ ফল। আখেরাতের প্রথম মনজিল কবর। আর কবরের জীবনের সূচনা হয় মৃত্যুর মাধ্যমে। শুরু হয় ওপারের অনন্ত জীবন। মৃত্যু যে কোনো মুহূর্তেই আসতে পারে।

islamic

এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘কেউ জানে না সে আগামীকাল কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না তার মৃত্যু কোথায় ঘটবে।’ (সুরা লোকমান, আয়াত ৩৪)। আল্লামা ইবনে রজব (রহ.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘মানুষসহ প্রতিটি প্রাণীর প্রতিটি মুহূর্তই যেন তার মৃত্যুর মুহূর্ত। এ জন্য রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে মানুষ! মৃত্যু আসার আগেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও।’ (মুস্তাদরাক হাকেম, হাদিস নম্বর ৮৯৪৯)। কিছু মৃত্যু জগৎ আলোড়িত করে। প্রতিটি মানুষকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে যায়। আর কিছু মৃত্যু মানুষকে স্বস্তি দেয়। জুলুম-অত্যাচারের অবসান ঘটায়। একজন কবি লিখেছিলেন, ‘এমন জীবন তুমি করিবে গঠন/মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন।’ ভালো মৃত্যুর জন্য চাই পরিকল্পিত জীবন। আর এ জন্য প্রয়োজন আল্লাহর রহমত বা বিশেষ দয়া। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা কোনো বান্দার মঙ্গল চাইলে তাকে যোগ্য করে তোলেন।’ সাহাবায়ে কেরামগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রসুল! কীসের যোগ্য?’ রসুল (সা.) বললেন, মৃত্যুর আগে বেশি বেশি নেক আমল করার তৌফিক দিয়ে ওই ব্যক্তিকে আল্লাহ জান্নাতের যোগ্য করে তোলেন।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর ২১৪২)।

অন্য হাদিসে রসুল (সা.) বলেন, ‘যখন আল্লাহতায়ালা কোনো বান্দার কল্যাণ চান, তখন তাকে শক্তি দেওয়া হয়। সাহাবিরা বললেন, কীসের শক্তি? জবাবে রসুল (সা.) বললেন, ‘বেশি বেশি নেক আমল করার শক্তি।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নম্বর ১৭৮১৯)। মৃত্যু সম্পর্কে এক আরব কবি বলেছেন, ‘জীবন হলো কয়েকটি চোখের পলকের নাম।’ অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়কাল চোখের পলকের মতোই ক্ষুদ্র। তাই একজন বুদ্ধিমান মানুষের করণীয় হলো সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ভালো মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। মৃত্যুর সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি হলো নিজেকে ভালো কাজে নিয়োজিত করা এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা নেক আমলের দিকে দৌড়ে আস, ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতের মতো ফেতনা নেমে আসার আগেই।’ (মুসলিম, হাদিস নম্বর ৩২৮)। মুমিন মাত্রই আল্লাহর প্রতি এ সুধারণা পোষণ করবে যে তিনি অবশ্যই মৃত্যুর সময় বান্দার কষ্ট কমিয়ে দেবেন। কারণ আল্লাহর প্রতি যে যেমন ধারণা করবে আল্লাহ তার সঙ্গে তেমন আচরণই করবেন। এক হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, ‘আমার সম্পর্কে আমার বান্দার ধারণা মোতাবেক আমি আচরণ করি। আমি তার সঙ্গে থাকি।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর ৭৪০৫)। অন্য হাদিসে জাবির (রা.) বলেন, ‘রসুলুল্লাহ (সা.)-এর মৃত্যুর তিন দিন আগে তাঁকে আমি এ কথা বলতে শুনেছি যে তোমাদের সবাই যেন আল্লাহর প্রতি উত্তম ধারণা পোষণরত অবস্থায় মারা যায়।’ (মুসলিম, হাদিস নম্বর ৭১২১)।

মৃত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করার মাধ্যমেও ভালো মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়। বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ করার বড় একটি উপকার হচ্ছে, অন্তর থেকে দুনিয়ার আসক্তি দূর হয় এবং পরকালের চিন্তা ও আমল বাড়ে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সব ভোগ-উপভোগ বিনাশকারী মৃত্যুর কথা তোমরা বেশি বেশি স্মরণ কর।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর ২৩০৭)। মৃত্যুর কথা স্মরণের আরেকটি উপায় হলো কবর জিয়ারত। কবর জিয়ারত মৃত্যু ও আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। অন্তরে কবরের শাস্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে অন্যায় থেকে তওবা এবং মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণে সাহায্য হয়। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের এর আগে কবর জিয়ারতে নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর জিয়ারত কর। কেননা তা দুনিয়াবিমুখতা এনে দেয় এবং আখিরাতের স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১৫৭১)।

অ্যান্ড্রয়েড নাকি আইফোন কোনটায় বিপদ বেশি জানেন?

কবর জিয়ারতের মাধ্যমে বান্দার মনে প্রথমেই কবরের চাপের কথা ভেসে ওঠে। আম্মাজান হজরত আয়শা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘সবাইকেই কবর চাপ দেবে। কেউ যদি কবরের চাপ থেকে বাঁচতে পারত, তাহলে আমার প্রিয় সাহাবি সাদ ইবনে মুয়াজ বাঁচতে পারত।’ (মুসনাদে আহমাদ ও বায়হাাকি শরিফ)। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, ‘সাদকে কবরে রাখার পর রসুল (সা.) কয়েকবার সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার পড়লেন। হুজুরের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও তাসবিহ পড়লাম। রসুল (সা.) বললেন, ‘এই নেককার সাদের কবর সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তাসবিহ পড়ার পর আল্লাহ তাঁর কবর প্রশস্ত করে দিয়েছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ ও তিবরানি শরিফ)। কবরের চাপের ব্যাপারে সাহাবি ও তাবেয়িরা সব সময় ভিত থাকতেন। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, ‘আমরা রসুলের যত হাদিস শুনেছি সবচেয়ে ভয়ংকর ছিল কবরের চাপ দেওয়ার হাদিস। বিশেষ করে জলিলে কদর সাহাবি সাদও যখন কবরের চাপ থেকে বাঁচতে পারেননি তখন আমাদের মতো মানুষের কী উপায় হবে এ চিন্তায় আমরা সব সময় পেরেশান থাকতাম।’ (মুসান্নিফে আবদুর রাজ্জাক)। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ভালো মৃত্যুর প্রস্তুতি নেওয়ার তৌফিক দিন। আমিন।

‘মৃত্যুর lifestyle উপায় ভালো ভালো মৃত্যুর উপায়

Related Posts

গার্লিক বিফ রেসিপি

গার্লিক বিফ তৈরি করার সহজ রেসিপি জেনে নিন

June 16, 2025
ফ্রিতে অনলাইনে ক্লাব বিশ্বকাপ

যেভাবে ফ্রিতে অনলাইনে দেখবেন ক্লাব বিশ্বকাপ

June 16, 2025
স্ট্রোক জীবনযাপন পরিবর্তন

স্ট্রোক এড়াতে জীবনযাপনে যেসব পরিবর্তন আনবেন

June 13, 2025
Latest post
গার্লিক বিফ রেসিপি

গার্লিক বিফ তৈরি করার সহজ রেসিপি জেনে নিন

June 16, 2025
ফ্রিতে অনলাইনে ক্লাব বিশ্বকাপ

যেভাবে ফ্রিতে অনলাইনে দেখবেন ক্লাব বিশ্বকাপ

June 16, 2025
অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি

প্রযোজকের সঙ্গে যে খারাপ কাজ করলেন নায়িকা পূজা!

June 16, 2025
স্ট্রোক জীবনযাপন পরিবর্তন

স্ট্রোক এড়াতে জীবনযাপনে যেসব পরিবর্তন আনবেন

June 13, 2025
অধিনায়কত্ব-মিরাজ

লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব পেলে ভালো হয় : মিরাজ

June 13, 2025
About us | DMCA | Privacy Policy | Contact

© 2025 BelieveNoBorder. All Rights Reserved

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.