পূর্ণিমার বিয়ের খবর চমকে দিয়েছে অনুরাগীদের। কারণ, তারা জানতেন স্বামী আহমেদ ফাহাদ জামাল ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন। কিন্তু সেই সংসার যে ভেঙে গেছে, সেটা বুঝতেই পারেননি তারা। বুঝবেন কী করে- নায়িকা তো বিচ্ছেদ নিয়ে টু-শব্দটিও করেননি। তিনি এতটাই গোপনে কাজটি করেছেন যে, গণমাধ্যমও জানতে পারেনি।
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে পূর্ণিমা-ফাহাদ আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন। মতের মিল না হওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেন তারা।
পূর্ণিমা বলেন, আমার সঙ্গে আড়াই-তিন বছর ধরে ফাহাদের সম্পর্ক নেই। সে আমার মেয়ের বাবা। মেয়ে স্কুলে পড়ে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা ওভাবে বিষয়টি সবাইকে জানাতে চাইনি। যেন মেয়ের ওপর কোনো চাপ না পড়ে। তবে আমার নতুন সম্পর্ক মেয়ে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। আর ফাহাদের সঙ্গে আগে থেকেই বোঝাপড়ার সমস্যা ছিল। এ কারণে আমাদের একসঙ্গে থাকা সম্ভব হয়নি।
গত ২৭ মে আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। প্রায় দুই মাস গোপন থাকার পর বিষয়টি প্রকাশ করেন এ নায়িকা।
জানা গেছে, রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় বসবাস করছেন পূর্ণিমা-রবিন দম্পতি। চলতি বছরের শেষের দিকে তাদের বিবাহত্তোর সংবর্ধনা হবে।
পূর্ণিমা ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়ার সঙ্গে প্রথমবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে ওই বছরের ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের ছেলে আহমেদ ফাহাদ জামালের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো গাঁটছড়া বাঁধেন পূর্ণিমা।