সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে আজকাল প্রত্যেক বলিউড তারকার সাথে তাদের ফ্যানদের যোগাযোগ বজায় থাকে। তারকাদের সাধারণ মানুষ এতটাই আইডল হিসেবে দেখেন যে তাদের পুরনো সমস্ত তথ্য ফ্যানদের নখদর্পণে থাকে।
আর প্রত্যেক ভারতীয় বলিউডের প্রতি ভালোবাসা আর শব্দ দিয়ে নাই বা বলা হল। এই বলিউড ইন্ডাস্ট্রির এক অন্যতম জনপ্রিয় এবার হলো বচ্চন পরিবার। অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে অভিষেক বচ্চন এবং অন্যদিকে জয়া বচ্চন এবং পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন সকলেই সোশ্যাল মিডিয়াতে চর্চায় থাকেন কোনো না কোনো কারণে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে ঐশ্বর্য রায়ের এমন কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছিল যাতে চিৎকার করে কাঁদতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। ঠিক কি জানতে? এই প্রতিবেদনটি আপনাকে সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি ২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘পন্নিয়েন সেলভান ১‘। এতে বেশ বিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। তাঁর লুক দেখে বিভোর হয়েছিলেন নেটিজেনদের একাংশ।
তবে যাই হোক না কেন এখন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন খুব একটা লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন দুনিয়াতে থাকেন না। একটা সময় প্রচুর হিন্দি সিনেমাতে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু এখন তিনি তার কাজের সংখ্যা যথেষ্ট কমিয়ে দিয়েছেন।
আসলে এর কারণ ব্যাখ্যা করে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন নিজেই বলেছেন যে আপাতত তিনি তার কন্যাসন্তান আরাধ্যাকে সময় দিতে চান। আসলে বর্তমানে মেয়ের পড়াশোনার দিকে নজর দিচ্ছেন অভিনেত্রী। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে স্কুলে পড়াকালীন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তিনি প্রত্যেক বছর ক্লাসে প্রথম হতেন। এইজন্য অনেকেই মনে করেছিলেন যে আইসিএসসি পরীক্ষাতেও তিনি প্রথম হবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পরীক্ষার ফল বেড়ানোর পর দেখা গিয়েছিল ঐশ্বর্য অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন। তিনি নিজের রেজাল্ট দেখে তখন বুঝতে পেরেছিলেন প্রথম হওয়ার মূল্য। সামান্য নম্বরের পার্থক্যের জন্য অষ্টম হওয়ায় ঐশ্বর্য কেঁদে ফেলেছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সময় থেকেই ঐশ্বর্য রাই মডেলিং করতে শুরু করেছিলেন। তবে প্রথমদিকে পড়াশোনার ক্ষতি না করে মডেলিং করলেও পরবর্তীকালে তিনি হঠাৎ করেই মিস ইন্ডিয়া ওয়াল্ডে মনোনীত হয়ে যান।
তখন তিনি আর্কিটেকচার নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছিলেন। এরপর মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা অসম্পূর্ণ রাখতে হয়। অবশ্য তিনি পুরোপুরি মডেল এবং অভিনয়ের জগতে চলে আসেন।