মুড সুইং খুব সাধারণ একটি সমস্যা। আর মন মেজাজ খারাপ থাকলে তা শরীরের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি মুড সুইং এর সমস্যায় ভোগেন। করোনার কারণেও মুড সুইং এর সমস্যাটি অনেক বেড়েছে।
মুড সুইং মূলত হয় হরমোনজনিত কারণে। আমরা যখনই হতাশায় ভুগি তখনই এমন অনেক খাবার খেয়ে থাকি যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে এমন অনেক খাবার আছে যা খাওয়ার ফলে আপনার মন মেজাজ শান্ত রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবারের নাম।
কার্ব জাতীয় খাবার:
এমন কিছু কার্ব আছে যা রক্তের প্রবাহে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি নিঃসরণ নিশ্চিত করে এবং হতাশার হাত থেকেও বাঁচায়। এই কার্বস মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক রাসায়নিক উপাদান বাড়ায় যা হ্যাপি হরমোন নামেও পরিচিত। খাবারের তালিকায় ওটস, গোটা গম, কুইনোয়া, বার্লি বা অন্যান্য গোটা শস্য রয়েছে সেগুলো রাখার চেষ্টা করুন যা আপনাকে খুশি রাখে।
সাইট্রাস ফল:
সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি এর সমৃদ্ধ উৎস, যা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে। ভিটামিন সি বর্ধিত কর্টিসলের মাত্রা রোধ করে শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার:
ম্যাগনেসিয়াম মস্তিষ্কের ক্রিয়াগুলো শান্ত রাখতে সাহায্য করে এবং এতে করে উদ্বেগকে বাড়ে না। সবুজ শাকসবজি ম্যাগনেসিয়ামের অন্যতম উৎস। অ্যাভোকাডো, মটরশুটি ও কলা এক্ষেত্রে উপযুক্ত খাবার।
জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার:
খনিজ সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরকে স্ট্রেস মোকাবেলায় সহায়তা করে। জিঙ্ক স্নায়ুতন্ত্রের জন্য অনেক উপকারী। আর এতে করে মস্তিষ্কও ঠান্ডা থাকে।
ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার:
ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের কার্যযকারিতা উন্নত করে। চর্বিযুক্ত মাছ, আখরোট এবং ফ্লাক্স বীজ এই স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের অন্যতম উৎস।
চা:
চা এমন একটা পানীয় যা মানুষের মনকে শান্ত রাখে। চায়ের পাতা, বিশেষত গ্রিন টি, স্নায়ু প্রশান্ত করতে সাহায্য করে কারণ এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির একটি সমৃদ্ধ উৎস।
চকলেট:
৭০ শতাংশ চকলেটে উচ্চ কোকো ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা মস্তিষ্ক এবং হার্টে রক্ত প্রবাহকে সহায়তা করে যা উদ্বেগ হ্রাস করে। মোট কথা ক্যাফেইন উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ:
হলুদে যেসব উপাদান রয়েছে তা রাগ ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। হলুদ খাওয়ার ফলে সুখী হরমোগুলো জাগ্রত হয়।
ব্রাক্ষী ও অশ্বগন্ধা:
উদ্বেগ ও হতাশার সাথে লড়াই করার জন্য আয়ুর্বেদ শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে আসছে। অশ্বগন্ধা একটি অ্যাডাপ্টোজেন যার অর্থ শরীরকে মানিয়ে নেওয়া এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করতে সহায়তা করা। তিন হাজার বছর আগে থেকেই অবসাদ দূরীকরণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই ভেষজ উদ্ভিদগুলো।