আজকের প্রজন্মের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া বিনোদনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ৮-৮০ প্রায় সকলেই সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজেদের অবসরের সঙ্গী হিসেবে ধরে নিয়েছেন। আর এই অবস্থায় তারা নিজেদের বেশিরভাগ সময়টাই কাটিয়ে দেন এই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। আর সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিও নিজেদের নেটজনতাকে হতাশ করে না। প্ল্যাটফর্মগুলি প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে একাধিক বিনোদনমূলক ঝলক নিয়ে হাজির থাকেন নিজেদের নেটজনতার সামনে। অবশ্য সেই প্রসঙ্গে আলাদাভাবে সন্দেহের কোন অবকাশই নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় কোন কিছুই ভাইরাল হতে বিশেষ সময় লাগে না। যদি কোন ঝলক নেটজনতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় তাহলে, সেই ঝলক একাংশের মাঝে ভাইরাল হতে বাধ্য। আর বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অধিকাংশই ডিজিটাল ক্রিয়েটর হিসাবে পরিচিতি অর্জন করছেন নেটদুনিয়ায়। সেকথা অবশ্য আলাদাভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। নেটদুনিয়ার পাতায় চোখ রাখলেই এমন একাধিক ঝলক নজরে আসবে। সম্প্রতি তেমনই এক ডিজিটাল ক্রিয়েটর নিজের রিল ভিডিওর সূত্র ধরেই নাগরিকদের একাংশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সাম্প্রতিক ভাইরাল হওয়া ঝলকে ভানশু নামের এক যুবতীকে নিজের বানানো রিল ভিডিওর সূত্র ধরেই চর্চায় থাকতে দেখা গিয়েছে। এদিন নিজের ঘরেই বানিয়েছিলেন নিজের এই ভিডিওটি। বলিউডের অন্যতম প্রথম সারির গায়িকা অলকা ইয়াগ্নিকের জনপ্রিয় গান ‘তু পেয়ার মুঝসে হি কারতা হ্যায়’এর তালেই দেখা দিয়েছিলেন এদিন। খোলা চুলে হলুদ ক্রপটপ ও কালো জিন্সেই নিজের লুক সেট করেছিলেন তিনি। হালকা মেকাপেই হাজির হয়েছিলেন ক্যামেরার সামনে। তবে এই যুবতী যে এমন ধরনের ঝলকের সূত্র ধরে আগেও চর্চায় উঠে এসেছেন, তা বলাই বাহুল্য।
ভানশুর এই ভাইরাল হওয়া ঝলকের কমেন্টবক্সে ইতিবাচকের পাশাপাশি নেতিবাচক মন্তব্যেরও দেখা মিলেছে। কেউ ভালোবাসার ইমোজিতে ভরিয়ে দিয়েছেন কমেন্টবক্স। আবার কেউ প্রশংসা করেছেন তার। কেউ আবার সরাসরি মন্তব্যের মাধ্যমেই তার ভালোবাসাকে নাকোচ করে দিয়েছেন। এই যুবতী যে সেভাবে কাউকেই পাত্তা দেননি, তা তার নিষ্পৃহ প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট।