নিজের প্রতি নিজের যে দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভূতি, মুল্যায়ন সেটাই হলো আত্মসম্মান। একজন উচ্চ আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ব্যক্তি যেমনই হোক, নিজেকে গ্রহণ করেন এবং নিজেকে মূল্য দেন। নিজেকে সম্মান করতে পারলেই, অন্যকে করা সম্ভব। এতে সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভব নিয়ে চলা যায়।
নেতিবাচক আত্ম-আলোচনাকে চ্যালেঞ্জ করুন
নিজের ব্যাপারে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা বা আত্ম-সমালোচনা সনাক্ত করুন। নেতিবাচক বিশ্বাসগুলোকে মন থেকে মুছে ফেলুন। সমালোচনাগুলোকে ইতিবাচক ভাবে নিতে শিখুন। সেগুলো বদলানোর জন্য নিজের সাথে চ্যালেঞ্জ করুন। আপনার শক্তি, অর্জন এবং অনন্য গুণাবলীতে মনোযোগ দিন।
বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় ক্ষেত্রেই বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনার লক্ষ্যগুলোকে ছোট ছোট পদক্ষেপে ভেঙে ফেলুন। সে অনুযায়ী ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যান। লক্ষ্য অর্জন আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
নিজের যত্ন নিন
নিজের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার যত্ন নিন। এমন ক্রিয়াকলাপে জড়িত থাকুন যা আপনি উপভোগ করেন। যেগুলো আপনাকে নিজের সম্পর্কে ভাল বোধ করায়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। পুষ্টিকর খাবার খান।পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান।
ইতিবাচক ব্যক্তিদের মাঝে থাকুন
এমন ব্যক্তিদের সন্ধান করুন যারা আপনাকে উত্সাহিত করে। বিষাক্ত সম্পর্ক বা পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। এগুলো আপনার আত্ন-বিশ্বাসে আঘাত করতে পারে। ইতিবাচক মানুষ দ্বারা নিজেদের ঘিরে রাখুন। এতে আপনার আত্মসম্মান বাড়বে।
ব্যর্থতা থেকে শিখুন
ভুল বা ব্যার্থতা নিয়ে হতাশ হবে না। বরং তা থেকে শিখার চেষ্টা করুন। বুঝে নিন, ব্যার্থতা জীবনের একটি অংশ। নিজের ভুল জানার চেষ্টা করুন। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/shisur-uccota/
আত্ম-সহানুভূতি হন
দয়া, বোঝাপড়া এবং সহানুভূতির সাথে নিজেকে পরিচালনা করুন। আত্ম-সমালোচনা এড়িয়ে চলুন। নিজেকে ভালবাসতে শিখুন। প্রয়োজনে নিজেকে ক্ষমা করে দিন।