ভারতের মতো জনবহুল দেশের পরিবহন ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদেশের রেলের পাশাপাশি সড়ক পরিবহনও দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বর্তমানে, দেশের উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা যাতায়াতকে অনেক সহজ করে তুলেছে।
এই ১৪০ কোটি মানুষের দেশে রয়েছে অসংখ্য রাস্তা, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তকে যুক্ত করেছে। এর ফলে গ্রাম শহর কৃষি শিল্প সব মিলেমিশে, একাকার হয়েছে। দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
এছাড়া ছোট বড় রাস্তার পাশাপাশি যাতায়াত ব্যবস্থাকে সুগম করে তুলতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে প্রায় ৬০০টি জাতীয় সড়কপথ। দেশের জাতীয় সড়ক সম্পর্কে এমন অনেক তথ্যই রয়েছে যা বহু মানুষের কাছে অজানা।
ভারতবর্ষে এমন একটি জাতীয় সড়ক রয়েছে যার যাত্রাপথ জানলে আপনিও বিস্মিত হবেন। কারণ এই সড়ক ধরে যাত্রা শুরু করলে আপনি পাহাড়, বরফ, সাগর, নদী, মরুভূমি সবকিছুই দেখতে পাবেন। তথ্যটা শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
আগে এই জাতীয় সড়কটি ছিল ন্যাশনাল হাইওয়ে ৭ নামে। বর্তমানে এটি ন্যাশনাল হাইওয়ে ৪৪ হয়েছে। উত্তরের জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে শুরু করে এই কালো পিচের ঢালাই রাস্তা মোট ১১টি রাজ্য পার করে অবশেষে গিয়ে থামছে দেশের দক্ষিণ প্রান্তের শেষ বিন্দু কন্যাকুমারী-তে।
শ্রীনগর থেকে এই জাতীয় সড়ক পথ ধরে যাত্রা শুরু করলে জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু রাজ্যগুলির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
এই জাতীয় সড়ক পথের দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ১১২ কিলোমিটার। সুতরাং এই পথে অনেক ঐতিহাসিক জায়গার সাক্ষী হওয়া যায়। যেমন, কাশ্মীরের বরফ, হিমাচলের পাহাড়, রাজস্থানের মরুভূমি ও কন্যাকুমারীর সাগর। একটি জাতীয় সড়কের মধ্যে দেশের নানা প্রান্তের এমন বৈচিত্র্য সচরাচর খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না।