আমরা অনেকেই মুলা খেতে পছন্দ করি। মুলা দিয়ে বড় মাছ দিয়ে ঝুল রান্না করলে খেতে ভারি মজা লাগে।কিন্তু অনেকেই এটি চাষ না করতে পেড়ে বাজার থেকে কিনে এনে খেতে হয়।কেননা তার বাড়িতে জায়গার অভাব।
মুলা খাবেন যে কারণে: মুলা জিভে জল আনা কোনো খাবারের নাম নয়। বরং এর নাম শুনলে নাক কুঁচকে ফেলেন অনেকে। মূলত গন্ধের কারণে মুলা কারও কারও কাছে অ’পছন্দের। কিন্তু যে সবজিটিকে আপনি অবহেলায় পাত্তাই দিচ্ছেন না, সেটি আপনার জন্য কতটা উপকারী, তা কি জানেন?
বাজারে লাল ও সাদা দুই ধরনের মুলা দেখতে পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণের বিবেচনা করলে কোনোটিই কম নয়। মুলার চেয়ে আবার মুলা শাকের গুণ বেশি হয়। কচি মুলার পাতা শাক হিসেবে ভেজে খাওয়া যায়। এছাড়াও অন্য অনেকভাবেই মুলো শাক রাঁধা যায়। মুলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটা’মিন ‘এ’ পাওয়া যায়। শীত ছাড়াও আজকাল প্রায় সারা বছরই মুলা কমবেশি বাজারে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তাই এটি নিয়মিত পাতে রাখলে উপকারই মিলবে।রান্না করে তো খাবেনই, পাশাপাশি কাঁচা মুলাও খান।
শীতকালে কাঁচা মুলা খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে। ভাত, রুটি খাওয়ার সময় কাঁচা মুলা গ্রেটারে কুড়িয়ে লবণ দিয়ে খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় ও খাদ্যে রুচি বাড়ে। তাই অরুচি হলে মুলা খেতে পারেন। উপকার মিলবে, অনেকেই আবার বাড়ি পাশে মুলা চাষ করে খেতে পারে না, কিছুদিন আগে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ভাই’রাল হয় সেখানে দাদা দেখান কি ভাবে মুলা চাষ করলে ফলন হয় বাম্পার ও বারো মাস ধরবে গাছে।
প্রথমে মাটিকে শুকিয়ে নিয়ে মাটির সাথে জৈ’ব সা’র ও গোবর মিশিয়ে পলিটিন এর ব্যাগের মধ্যে সুন্দরভাবে কে’টে মাটি দিয়ে ভরে দিলেন তারপর মুলার এর বীজ এই মাটির মধ্যে রোপন করুন। কয়েকদিন পর যখন বীজ থেকে চারা গজিয়েছে তখন এটিকে এখান থেকে নিয়ে বড় টপের মধ্যে রোপন করুন এবং সেখানে নিত্যদিন পানি দিয়ে থাকেন যখন মুলা গাছ একটু বড় হয়েছে তখনই এটি থেকে আগাছা পরিষ্কার করে দিয়ে দিবেন। কিছু দিনের মধ্যে মুলার বাম্পার ফলন হবে।
এইখানে প্রধান ভুমিকা রাখবে বারো মাসি বীজ তাই দোকান থেকে বীজ কিনার সময় খেয়ার করে বারো মাসি বীজ কিনবেন, প্রথমে ছোট করে বীজতলা তৈরি করে ওখানটায় বীজ গুলো রোপন করে ভাল চারা বানিয়ে নিয়ে একটু বড় হলেই পূর্বের তৈরি করা বক্সে রোপন করে যত্ন নিতে থাকবেন। এই ভাবে মুলা চাষ করলে মুলা বাম্পার ফলন হবে আপনিও চাইলে বারো মাস খেতে পারবেন।