বেঙ্গালুরু টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের ৫ ব্যাটার ‘ডাক’ মেরেছিল। সেই তালিকায় ছিলেন বিরাট কোহলি ও সরফরাজ আহমেদও। আট বছর পর তিন নম্বরে খেলতে নেমে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫তম ‘ডাক’ মেরেছিলেন কিং কোহলি। সেই আক্ষেপ ভুলে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন কোহলি।
অবশ্য তৃতীয় দিনের শেষ বলে আউট হয়ে ৭০ রানে থেমেছে তার ইনিংসটি। টেস্টে ৯ ইনিংস পর পেয়েছে ফিফটি। ভারতের সাবেক অধিনায়ক ফিরলেও ভারতকে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্রথম ইনিংসে ‘ডাক’ মারা আরেক ব্যাটার সরফরাজ। কোহলির সমান ৭০ রানে অপরাজিত আছেন তিনি।
দিন শেষে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস দাঁড়িয়েছে ৩ উইকেটে ২৩১ রান। এখন প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডের থেকে ১২৫ রানে পিছিয়ে ভারত।
ম্যাচ ড্র করতে হলে শেষ দুই দিন যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে ভারতকে তা না বললে চলে। ঘরের মাঠে এমন পরিস্থিতি আসলে প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট হওয়াতেই।
দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য শুরুটা ভালোই করেছিল স্বাগতিকেরা। উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান এনে দিয়ে লড়াইয়ের পূর্বাভাস দেন যশস্বী জয়সোয়াল ও রোহিত শর্মা। জয়সোয়াল ৩৫ রানে আউট হওয়ার পর ফিফটি করে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত (৫২)।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পরেই দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন কোহলি-সরফরাজ। বেঙ্গালুরু টেস্টের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আগামীকাল হয়তো আরও বড় দায়িত্ব নেওয়ার ভাবনা ছিল কোহলির মাথায়।
কিন্তু দিনের শেষ বলে তাকে গ্লেন ফিলিপস আউট করলে তৃতীয় উইকেটে ১৩৬ রানের জুটি ভেঙে যায়। এখন দলের দায়িত্বটা সরফরাজের কাঁধে। ঘরোয়া ক্রিকেটে লম্বা ইনিংস খেলার সুনামটাই এবার দেখানোর পালা তার।
এর আগে ৩ উইকেটে ১৮০ রানে দিন শুরু করতে নামা নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করে ৪০২ রান। গত দিন ডেভন কনওয়ে সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়লেও রাচিন রবীন্দ্র ঠিকই তিন অঙ্ক স্পর্শ করেছেন। আজ তার সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলে এক প্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় তার ১৩৪ রানের ইনিংসের কল্যাণেই ৩৫৬ রানের লিড পায় কিউইরা। অবশ্য টিম সাউদিকে কৃতিত্ব না দিলে ভুল হবে।
অন্যরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলেন তখন ৯ নম্বরে নেমে রাচিনকে দুর্দান্ত এক সঙ্গ দিয়েছেন সাউদি। ওয়ানডে স্টাইলে ৭৩ বলে ৫ চার ৪ ছক্কায় ৬৫ রানের ইনিংস খেলার পথে সতীর্থের সঙ্গে দলের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন তিনি। অস্টম উইকেটে ১৩৭ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদব।