বিয়ে ছেলেখেলা নয়। বিয়ে করার আগে অবশ্যই সঙ্গীকে ভাল করে জেনে নিন। একটি প্রেমময় সম্পর্ক গড়ে তুলুন। প্রেম যেকোনো সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ সময় একে অপরকে বোঝা, মূল্যবোধ, লক্ষ্য, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং প্রয়োজনগুলো জানা যায়। সাধারণ ভিত্তি গুলো সন্ধান করা যায়। সব কিছু মিলে গেলে বিয়ের মত বড় সিদ্ধান্তটি নিতে পারেন। বিয়ে টিকিয়ে রাখার জন্য সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধা এবং আনুগত্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। থেরাপিস্ট জর্ডান ড্যানের মতে, “বেশিরভাগ দম্পতির জন্য, কেবল ভালবাসাই যথেষ্ট নয়। এটি এক ধরণের প্রতিশ্রুতিও। তাই বিয়ের আগে সঙ্গীর সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে নেওয়া দরকার। তা না হলে বিয়ের পরে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা চ্যালাঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়”।
মূল্যবোধ
আমাদের মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা আমাদের আসল পরিচয় । আমরা কোথায় বাস করতে চাই, কী করতে চাই বা কী বিশ্বাস করি তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই যাকে বিয়ে করতে চান তার ব্যাপারে এ সব তথ্য জেনে নিন। যদিও বলা হয়ে থাকে যে, বিয়ের ক্ষেত্রে মূল্যবোধে বিশ্বাস করা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং একে অপরকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ।
যোগাযোগ
প্রতিটি ব্যক্তির যোগাযোগের নিজস্ব উপায় রয়েছে। তাই যার সাথে বিয়ে করতে চান তার যোগাযোগের উপায়গুলো খেয়াল করুন। কেউ কেউ সারাদিন ফোন দিতেই থাকে। যা কিনা বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। আবার অনেকেই আছেন যারা নিজ থেকে যোগাযোগ করেন না। এটিও একটি বিব্রতকর অবস্থা।
অর্থ
বিয়ের আগে অর্থ সম্পর্কে কথা বলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর মধ্যে একটি। এর মানে এই না যে, আপনি লোভী। ব্যয়ের অভ্যাস এবং সঞ্চয় পরিকল্পনার ব্যাপারে কথা বলুন। এতে আপনারা একে অপরের জীবনধারা সম্পর্কে অবগত হবেন।
পরিবার
একটি বিয়ে পরিবারকেও একত্রিত করে। তাই সঙ্গীর পরিবারের ব্যাপারে জেনে নিন। আপনার পরিবারের সাথেও তার পরিচয় করিয়ে দিন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/je-vule-breakuper-karon/
ধর্ম ও বিশ্বাস
ধর্মের ব্যাপারে সবাই এক নাও হতে পারে। তাই ধর্মের ব্যাপারে সঙ্গীর দৃষ্টিকোণ জেনে নিন। এটি খুবই জরুরি একটি ব্যাপার। ধর্মীয় ব্যাপার নিয়ে মতবিরোধ থাকলে সামনে না আগানোই ভাল।