সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দুই কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। ২০২৩ সালে যে আইন হয়েছে, সেটা সেন্সর শব্দটিকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী, ত্রুটিপূর্ণ আইনকে সংশোধন করা হবে। সিনেমা জগতে যেন ক্ষতি না হয়, সেজন্য সার্টিফিকেশন বোর্ড পুনর্গঠন করা হবে। সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনের গেজেট হয়েছিল, সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি এখন পর্যন্ত। বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ডটি গঠন করা হয়েছিল সেটিও ১৯৬৩ সালের যে আইন সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। যেহেতু গেজেটের বিধিমালা ছিল না। সেই ধারাবাহিকতায় সেটিকে অনুসরণ করেই সিনেমা জগতে যেন আর্থিক ক্ষতি না আসে সেজন্য আপৎকালীন একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করেছিলাম।’
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নতুন করে সাজানো হচ্ছে সবকিছু। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গত রোববার ১৫ সদস্যের সেন্সর বোর্ড ঘোষণা করে তথ্য মন্ত্রণালয়। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, পুরনো ‘সেন্সর’ প্রথা বাদ দিয়ে গ্রেডিং বা রেটিং পদ্ধতি চালুর। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এসে আগের মতোই সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করায় শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।