মাঝে টিকটক অ্যাপ এর ঠেলায় সকল সাধারণ মানুষই তারকা হয়ে উঠছিল। টিকটক অ্যাপ সম্পর্কে সকলেরই কমবেশি জ্ঞান রয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষরাও বিখ্যাত সিনেমার গান বা ডায়লগ এর সাথে ঠোঁট মিলিয়ে অভিনয় করে, নাচ করে ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে উপার্জন করতেন। তবে ভারত থেকে অবশেষে ব্যান করা হলো এই অ্যাপটি।
তবে টিকটক অ্যাপের ভূত কিন্তু মানুষের মাথা থেকে এখনো যায়নি। Tiktok app নাই থাকতে পারে, কিন্তু মানুষের হাতের কাছে আছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। এই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এ এখন হামেশাই ছোট ছোট রিলস্ ভিডিও বানিয়ে শেয়ার করা যায়। সেই একই রকম ভাবে কোন সিনেমার গান বা সিনেমার ডায়লগ এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করে ভিডিও করছেন। আর সেই ভিডিওগুলোই দেদার শেয়ার করছেন বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজনদের সাথে। সঙ্গে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার অপশন অবশ্যই রাখছেন তারা।
যার ভিডিও যত তাড়াতাড়ি যত মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, তার ভিডিও হয়ে উঠছে ভাইরাল। আর এই ভাইরাল শব্দটি যেন প্রত্যেকটি মানুষের মাথাতে গেঁথে গেছে। তাই পৃথিবীর কোনায় কোনায় সমস্ত মানুষজন এখন ভাইরাল হওয়ার নেশায় কত কিছুই না করছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হলেন এক যুবতী। তিনি পুরোনো দিনের সিনেমার একটি গান ‘হুসনা হ্যায় সুহানা’ এর সাথে নেচে রীতিমতো ঘাম ঝরালেন নেটিজেনদের।
গানটির সঙ্গে তিনি পরেছিলেন একটি কালো রঙের ব্লাউজ ও আকাশে রংয়ের শাড়ি। তবে শাড়িটা এমন ভাবেই পড়েছিলেন যে তার নাভি স্থল থেকে শুরু করে বক্ষযুগল সুস্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল ভিডিওটিতে। তার শরীরের দোলনের সঙ্গে যখন তার নাভি ও বক্ষযুগল কাঁপছিল। আর সেই দেখে রাতের ঘুম উড়ে যায় হাজার হাজার যুবকদের।
তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে ৯.৫ লাখ মানুষের মধ্যে। ভিডিওটিকে খুব পছন্দ করেন অনেকে। আবার একদল নেটিজেন ভিডিওটি দেখে নিন্দাও করেন। তার কারণ আজকাল ভাইরাল হওয়ার জন্যই মেয়েরা এভাবে শরীর দেখে ভিডিও করে তা আবার শেয়ার করছেন জনসমক্ষে। এই বিষয়টি অনেকের কাছেই অপছন্দের।