অনেকেরই চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল পড়ে থাকে। কিন্তু কেউ কেউ আছেন যাদের চোখের নিচের অংশ ফুলে যায়। একে ‘আই ব্যাগ’ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু কেন হয় এই ব্যাগ? তাই জেনে নিন, ‘আই ব্যাগ’ আসলে কেন হয় এবং এটা কমানোর জন্য আপনার কী কী করণীয়। ক্লান্তি, মানসিক চাপ কিংবা দুঃশ্চিন্তার কারণে চোখের নিচে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। যা চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট করে এবং বয়সের ছাপ পড়ে। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই কমানো যাবে ফোলাভাব।
আলুতে ‘ক্যাটেকোলেইস’ নামক উপাদান যা চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এর পুষ্টি উপাদান,ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক দৃঢ়, কোমল ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। একটি আলু করে কেটে তা রেফ্রিজারেইটরে ৩০ মিনিট রেখে দিন। চোখের ফোলা অংশের ওপর টুকরা করা আলু রেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
একটি বাটিতে কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে খানিকটা লবণ মেশান। এতে দুইটি তুলার বল ভিজিয়ে তা চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। তুলার বল ঠাণ্ডা হলে তা আবার পানিতে ভিজিয়ে চোখের ওপর দিন। আধ ঘণ্টা ধরে এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
চোখের চারপাশের ত্বক টানটান রাখতে ডিমের সাদা অংশ সাহায্য করে, এতে বলিরেখা কম দেখা যায়। দুয়েকটি ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটে ব্রাশের সাহায্যে চোখের চারপাশে লাগান। ১০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
দুধের অ্যামিনো অ্যাসিড চোখের নিচে ফোলাভাব কমায় এবং ‘ফ্যাট’ চোখে আরাম অনুভব করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দুধ চোখের জলীয়ভাব রক্ষা করে। দুটি তুলার প্যাড ঠাণ্ডা দুধে ভিজিয়ে চোখের ওপরে রাখুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/vinno-shader-polaw/
এটি চোখের প্রদাহ কমায় এবং ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। শসার এনজাইম এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট চোখ শীতল রাখতে সাহায্য করে। একটি শসা পাতলা করে কেটে ২০ মিনিট রেফ্রিজারেইটরে রাখুন। এরপর চোখের ওপর রেখে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। দিনে কয়েকবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। এছাড়া এলার্জির কারণেও চোখের নিচের অংশ ফুলে উঠতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও এ সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত লবণ খাবারের সঙ্গে গ্রহণ করলে এ সমস্যা হতে পারে। তাই অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম।