কানের ময়লা ইয়ারওয়াক্স প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের শরীরে তৈরি হয়। সাধারণভাবে এটি শরীরে কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু অতিরিক্ত ময়লা তা শ্রবণ শক্তিকে বিঘ্নিত করতে পারে। ফলে এই ময়লা পরিষ্কার করা অর্থাৎ কান পরিষ্কার রাখাও জরুরি। কিন্তু কান কী দিয়ে পরিষ্কার করছেন? বা তুলার কাঠি দিয়ে কী? কানের ময়লা সমস্যা না ডেকে আনলেও কটন বাডস আনতে পারে, এমনটাই জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
কি হয় কান খোঁচালে?
ইনফেকশন
এতে কানে তীব্র ব্যথা, জ্বালা হয়, কান ফুলে যায় এবং কান গরম হয়ে যায়। কান থেকে পুঁজ ও পানি পড়তে পারে।
ফাংগাস আক্রমণ
এতে প্রথমে কানে চুলকানি হয়, পরে কান ভার ভার লাগা, কানে কম শোনা, কানে ব্যথা অনুভব হয়। সঠিক সময় ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে কানের পর্দায় ছিদ্র হয়ে যেতে পারে।
কানের পর্দায় ছিদ্র হওয়া
কটনবাড, কাঠি বেশি ভেতরে প্রবেশ করালে, বা কান পরিষ্কার করার সময় সামান্য আঘাত লাগলেই কানের পর্দায় ছিদ্র হতে পারে। পরে সঠিকভাবে চিকিৎসা না হলে কান পাকা রোগ, কানে ইনফেকশন হতে পারে এবং কানে শুনানি কমে যেতে পারে, কানে শোঁ শোঁ করতে পারে। অনেক সময় মাথাও ঘুরতে পারে।
কীভাবে করবেন কান পরিষ্কার?
গোসল করার সময় কানের বাইরের অংশে ভালো করে সাবান মাখুন। সঙ্গে হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। এর পরে একটি নরম তোয়ালে দিয়ে কানটি বাইরে থেকে ভেতর অংশটি ভালো করে মুছে নিন। প্রতিদিন গোসলের সময় করলেই কানের ময়লা নিয়ে আর ভাবতে হবে না।
কানের খুব বেশি ময়লা থাকলে প্রাকৃতিক তেল যেমন অলিভ অয়েল বা এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন। কানের তেল দিলে ইয়ারওয়াক্স আপনা থেকেই নরম হয়ে বেরিয়ে যায়।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/dhonepata-taja/
মাইক্রোশেসন পদ্ধতিতেও কান পরিষ্কার করতে পারেন। এতে একটি মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে ইয়ারওয়াক্স অপসারণ করা হয়। চিকিৎসক ছাড়া এই কাজ করানো ঠিক নয়।