অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন যে, আধুনিক সভ্যতার শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার বাইসাইকেল। তাতে তেল লাগেনা, কয়লা লাগেনা, মানুষটা বলতে গেলে নিজের পায়েই চলছে, কিন্তু গতি কত বেড়ে গেছে, সবচেয়ে বড় কথা এটা সমাজের সব শ্রেণির মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে। আজকের যুগে আমরা সাইকেল ছাড়া জীবন ভাবতেই পারি না। কিন্তু সাইকেলের বাংলা নাম জিজ্ঞেস করলেই হোঁচট খাবে অনেকেই।
ভারতের বা পৃথিবীর যেকোনো রাস্তায় চলতে গেলে অসংখ্য সাইকেল চোখে পড়বেই। সাইকেল চালানো শরীরের পক্ষেও খুবই ভালো। আমাদের অনেকেরই ছোটবেলার স্মৃতির সঙ্গে সাইকেল জড়িয়ে আছে। সাইকেলে চড়ে স্কুলে যাওয়া, সাইকেল চড়া শিখতে গিয়ে পড়ে যাওয়া, এমনকি অনেকের প্রথম প্রেমের সঙ্গেও সাইকেলের স্মৃতি মিশে রয়েছে। ১৯ শতক থেকে সাইকেল বাঙালি জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।
জার্মানির কার্ল ভন ড্যারন ১৮১৭ সালে জার্মানির ম্যানহেইম শহরে সাইকেল আবিষ্কার করেন। ১৮৮০ সালে সর্বপ্রথম দুই চাকা সমান পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়, চেন ও টায়ার সংযুক্ত করা হয়। নানান পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর সাইকেল আজকের চেহারায় এসেছে। সাইকেল থেকে কোনোরকমভাবেই পরিবেশ দূষণ হয় না বলে এটা বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/komdame-biman-ticket/
বাজারে বিভিন্ন ধরনের সাইকেল পাওয়া যায়। ছেলেদের এবং মেয়েদের আলাদা সাইকেল তো বেশ কয়েক দশক আগেই ছিল। বিভিন্ন বয়সের জন্য আলাদা সাইজের সাইকেল রয়েছে। ইদানিং ইলেক্ট্রনিক সাইকেল বাজারে এসেছে। এছাড়াও রেসিং সাইকেল, পাহাড়ে ওঠার মত আলাদা ধরনের সাইকেল পাওয়া যায়। সাইকেল রেস রীতিমতো একটা স্পোর্টস হিসেবে গন্য হয়। এই সাইকেলের বাংলা নাম হল ‘দ্বিচক্রযান’।