সুস্থ দাঁত অসুস্থ হতে শুরু করে ক্যাভিটি থেকে। দাঁতের ওপরের স্তরকে বলে অ্যানামেল। মুখে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া এই এনামেলকে সংক্রমিত করে। ধীরে ধীরে এনামেলে ক্ষয়ে যায়। দাঁতে তৈরি হয় গর্ত। শুরু হয় দাঁত ব্যথা। তীব্র যন্ত্রণা তখন অতিষ্ঠ করে তোলে আপনার জীবনকে। এই যে দাঁতে ক্যাভিটি বা ক্ষত তৈরি হয়, এর পেছনে যতখানি ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা আছে, ঠিক ততখানিই আছে খাবারের ভূমিকা।
বিশেষ করে চিনি ও শর্করা জাতীয় খাবার ব্যাকটেরিয়াদের কাজ সহজ করে দেয়। দাঁতে জমে থাকা খাবার ব্যবহার করে অ্যাসিড তৈরি করে বাকটেরিয়াগুলো। সেই অ্যাসিডই আসলে এনামেলের ক্ষয় করে। ক্যাভিটি বা এনামেলের ক্ষয় থেকে বাঁচতে পারেন সহজই। এজন্য মেনে চলতে হবে কিছু সহজ নিয়ম।
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন
দিনে অন্তত দুবার ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। বিশেষ করে খাবারের পরে ব্রাশ করলে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমে।
ব্যবহার করুন ডেন্টাল ফ্লস
শুধু ব্রাশ করলেই দাঁতের সব জায়গা পরিষ্কার হয় না। তাই ফ্লস ব্যবহার করলে দাঁতের ফাঁক থেকে খাবারের কণা এবং প্লাক দূর করা সম্ভব।
চিনি ও মিষ্টি জাতীয় কম খান
চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার ব্যবহার ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দ্রুত অ্যাসিড উৎপন্ন করে। ফলে এতে দাঁতের ক্ষয় হয় বেশি। চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকা থেকে কমিয়ে ফেলুন।
ফ্লুরাইড ব্যবহার
ফ্লুরাইড দাঁতের এনামেল মজবুত করে এবং ক্যাভিটির ঝুঁকি কমায়। তাই ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট, মাউথওয়াশ ও ডেন্টাস ফ্লস ব্যবহারের দিকে বিশেষ নজর দিন।
ডেন্টিস্টের পরামর্শ
নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ ক্যাভিটির প্রাথমিক লক্ষণ ধরতে সাহায্য করে। এতে সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়। তাই নিয়মিত ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন।