গুগল ফটোজ প্রায় তিন বছর আগে তাদের নীতিমালায় বড় রকমের কিছু পরিবর্তন এনেছে। এর আগে ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে কমপ্রেসড বা সংকুচিত সংস্করণের ছবি ও ভিডিও ছবি শেয়ার ও স্টোরেজ পরিষেবাটিতে আপলোড করতে পারতেন। এগুলো গুগল অ্যাকাউন্টের ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজে হিসাব করা হতো না। কিন্তু এখন থেকে যেকোনো মানের ছবি কিংবা ভিডিও গুগল ফটোজ, গুগল ড্রাইভ ও জিমেইলসহ শেয়ার করা স্টোরেজের মধ্যে হিসাব করা হবে।
এ পরিবর্তন আসার পর অনেক ব্যবহারকারী ছবি সংরক্ষণের বিকল্প উপায় খুঁজছেন। তারা এখন গুগল ওয়ান প্লানে সাবস্ক্রাইব করে অতিরিক্ত স্টোরেজ কিনতে পারেন অথবা অন্য কোনো প্লাটফর্মে ছবি ও ভিডিও ব্যাকআপ রাখতে পারেন। তবে কোনো খরচ ছাড়াই গুগল ফটোজ ব্যবহার করতে চাইলে কিছু সহজ কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে। গিজচায়নার প্রতিবেদনে এসব কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে—
স্টোরেজ সাশ্রয়ের উপায়
১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে চাইলে কয়েকটি নিয়মিত কাজ করা প্রয়োজন। যেমন
অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল সরিয়ে ফেলা: জিমেইল ইনবক্স থেকে পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল মুছে ফেলুন, বিশেষ করে বড় আকারের অ্যাটাচমেন্টসহ ই-মেইল।
অপ্রয়োজনীয় ছবি মুছে ফেলা: গুগল ফটোজ থেকে ঝাপসা, ডুপ্লিকেট বা অপ্রয়োজনীয় ছবি ও ভিডিও সরিয়ে ফেলুন।
ছবি কমপ্রেস করা: মূল ছবির তুলনায় সংকুচিত ছবির আকার অনেক কম হয়। এটি স্টোরেজের বড় অংশ সাশ্রয় করতে পারে। আগে গুগল ফটোজে দুটি ব্যাকআপ অপশন ছিল, অরিজিনাল কোয়ালিটি ও হাই কোয়ালিটি। এখন হাই কোয়ালিটি অপশনকে ‘স্টোরেজ সেভার’ নামে হালনাগাদ করা হয়েছে। মূল ছবির তুলনায় সংকুচিত ছবির আকার ছোট হয়। তাই কমপ্রেস করে স্টোরেজ সাশ্রয় করা সম্ভব। এতে জায়গা সাশ্রয় ছবির রেজুলেশন ও ভিডিওর সাইজের ওপর নির্ভর করে।
ছবি কমপ্রেসের জন্য-
১. গুগল ফটোজ ওয়েবসাইটে যান: ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকে গুগল ফটোজ কোটা ম্যানেজমেন্ট পেজ খুলুন।
২. ‘রিক্লেইম স্পেস’ অপশন খুঁজুন: সেখানে ‘মোর ইনফরমেশন’ বাটনে ক্লিক করুন এবং সংকোচনের প্রভাব সম্পর্কে জানুন।
৩. ছবি কমপ্রেশনের প্রভাব বুঝুন: ছবি কমপ্রেস করলে সর্বোচ্চ ১৬ মেগাপিক্সেল পর্যন্ত রেজল্যুশন কমে যায়। ভিডিওগুলো ১০৮০ (ফুল এইচডি) পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য এ মান যথেষ্ট।
৪. কমপ্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করুন: ফাইলগুলো সংকুচিত হয়ে যাবে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
সতর্কতা ছবি একবার কমপ্রেস করলে তা আর আগের মানে ফেরত পাওয়া যাবে না। তাই হাই রেজলেশনের ছবি রাখতে চাইলে অন্য স্টোরেজ অপশন ভাবতে হবে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারিং বা সাধারণ ব্যবহারের জন্য সংকুচিত ছবির মান যথেষ্ট।